সাবেক এমপি আনার হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টুর জামিন

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে অন্তর্র্বতীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সাইদুল করিম মিন্টুকে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে অন্তর্র্বতী জামিন দেন। বুধবার (৪ জুন) আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আসামি সাইদুল করিম মিন্টুর নাম এফআইআরে ছিল না, একই সঙ্গে আসামি মিন্টু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক কোনো জবানবন্দি দেয়নি। এসব বিবেচনায় আদালত মিন্টুকে অন্তর্র্বতী জামিন দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাকে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

এর আগে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগ এনে গত বছরের ১২ মে আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। ওই মামলার পর গত বছরের ১১ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধানমন্ডি থেকে সাইদুল করিম মিন্টুকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলার নথিপত্র ও আইনজীবীদের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১২ মে চিকিৎসার কথা বলে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন তিনি। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।

এর পাঁচ দিন পরে গত বছরের ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনার নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস। কিন্তু আর খোঁজ মেলেনি টানা তিন বারের এই সংসদ সদস্যের। গত বছরের ২২ মে খবর ছড়ায়, কলকাতার পাশের নিউ টাউন এলাকায় সঞ্জিভা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর ফ্ল্যাটে আনারকে খুন করা হয়েছে। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে সেখানে মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More