সিরাজগঞ্জে সংঘর্ষ ও গুলি : মেহেরপুরে বিএনপির জনসভায় অ্যাড. জয়নুল আবেদীন

খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিংয়ে হত্যার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার
মেহেরপুর অফিস: বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়ে স্লো পয়জনিং করে হত্যা করার চেষ্টা করছে সরকার। কারণ বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে গিয়েছিলেন হেঁটে হেঁটে। এখন তার অবস্থা গুরুতর। এ অভিযোগ করলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. জয়নুল আবেদীন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর কাথুলী বাসস্ট্যান্ডে বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
অপরদিকে, সিরাজগঞ্জে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। বিএনপি কর্মীরা সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগের কর্মীরা বাধা দিলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষ ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে। এতে অর্ধশতাধিক আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে ইবি রোড, কলেজ রোড ও গোসালা রোড রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। আহতদের হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। বিভিন্ন উপজেলা থেকে সমাবেশে আসা বিএনপি নেতা-কর্মীদের বেশ কয়েকটি গাড়ি আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
মেহেরপুরে সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. জয়নুল আবেদীন সরকারের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রণমূলক মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া এতিমের একটি টাকাও আত্মসাত করেননি। জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য মিথ্যা মামলায় দেয়া হয়েছে। নেত্রী হেঁটে হেঁটে কারাগারে গিয়েছিলেন।
খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠাবেন অন্যথায় আপনাকে ক্ষমতায় বিদায় নিতে হবে। বাংলাদেশে জোয়ার উঠেছে। এই জোয়ারে আপনি ভেসে যাবেন। এখনও সময় আছে বেগম খালেদা জিয়াকে সম্মানে মুক্তি দিয়ে সরকারের খরচে বিদেশে পাঠিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের ভোটে তিনবার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি উল্লেখ করে আইনমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, তিনি সংবিধানের শপথ ভেঙেছেন। সংসদে দাঁড়িয়ে মিথ্যা বলেছেন। গতকাল শুনলাম ৪০১ ধারায় যা কিছু আছে তা তিনি পরীক্ষা করে দেখেছেন। খালেদা জিয়াকে আবার জেলখানায় গিয়ে চিকিৎসার জন্য আবেদন করতে হবে। আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি ৪০১ ধারায় সরকারের ক্ষমতা দেয়া আছে তার সাজা মওকুফ করে বিদেশে পাঠাবার এবং সুচিৎসা করানোর। ৪০১ ধারার মধ্যে আপনি যদি এটা দেখাতে পারেন এমন নেই তাহলে আমি আমার পেশা থেকে বিদায় নিব। তাই আসুন এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন। অন্যথায় এই মিথ্যা কথা বলার জন্য আপনার মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। পালিয়ে যেতে পারবেন না। সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। যারা এদেশে গুম হত্যা করেছে তারা আমেরিকায় যেতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, আজকের বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, চক্রান্ত হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিকে নিয়ে অপব্যাখ্যা দিবেন না। যেখানে বাংলাদেশে জঘন্যতম হত্যাকা-ের মামলার ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামিদেরকে আপনার সরকার মাফ করে দিয়েছে। সাজা মওকুফ করে দিয়েছে। অথচ বাংলাদেশের কয়েকবারের প্রধামন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য আমাদেরকে সমাবেশ করতে হচ্ছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্ততৃায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিক হারুন-অর-রশিদ আইনমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আজকের বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, চক্রান্ত হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিকে নিয়ে অপব্যাখ্যা দিবেন না। যেখানে বাংলাদেশে জঘন্যতম হত্যাকা-ের মামলার ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামিদেরকে আপনার সরকার মাফ করে দিয়েছে। সাজা মওকুফ করে দিয়েছে। অথচ বাংলাদেশের কয়েকবারের প্রধামন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য আমাদেরকে সমাবেশ করতে হচ্ছে।
গণতন্ত্র মুক্তির সমাবেশ নামে এ সমাবেশের আয়োজন করে মেহেরপুর জেলা বিএনপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন। বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মেহেদি হাসান রুমি, খুলনা বিভাগীয় সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অনিক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি সভাপতি সোহরাব হোসেনসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মেহেরপুর পৌর বিএনপি সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ^াস।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More