সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ি : দৌরাত্ম্য কমেছে ইজিবাইক ও ভ্যানের

স্টাফ রিপোর্টার: করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশের মতো চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ সারাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন। আগের লকডাউনে জেলাবাসী বিধিনিষেধ ঠিক মতো না মানলেও এবার চিত্র ভিন্ন। পুলিশ ও বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকায় প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে খুব একটা বের হতে দেখা যায়নি। ৭ দিনের লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সড়কগুলোতে ছিলো না কর্মমুখী মানুষের ভিড়। ছিলো না যানবাহনের শব্দ। দোকানপাটও ছিলো বন্ধ। বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছেন ম্যাজিস্ট্রেট, সেনা ও পুলিশ সদস্যরা। বিভিন্ন মোড়ে রয়েছে একাধিক চেকপোস্ট। এ বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ি নজরদারিতে ইজিবাইক ও ভ্যানের দৌরাত্ম কমেছে। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সকালে সড়কগুলো আরও বেশি ফাঁকা ছিলো। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি কম চোখে পড়েছে। যে কয়টি গাড়ি বের হয়েছিলো সেগুলোকে আবার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে পড়তে হয়েছে। এদিকে নিয়ম ভেঙে রাস্তায় বের হওয়ায় গুনতে হয়েছে জরিমানা। পাশাপাশি কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও মোটরসাইকেল দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলো।
চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান গতকাল শুক্রবার দ্বিতীয় দিনেও ছিলো একেবারে ফাঁকা। সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে জেলার প্রবেশপথগুলোতে তল্লাশি চালিয়েছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পণ্যবাহী ও জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত যানবাহন ছাড়া কোনো ধরণের যানবাহন চলাচল করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মাস্ক ব্যবহার ছাড়া বা বিনা প্রয়োজনে মানুষ বাইরে বের হলেও কড়া নজরদারি ও জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে মানুষকে। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে যারা বাইরে বের হচ্ছেন তাদের জরিমানা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকালও জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫৮ জনকে ৩৯ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলার চার উপজেলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহল দিয়েছে ৪ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ৩ প্লাটুন বিজিবিসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনার জন্য ১৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নিযুক্ত করেছেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।
বেলা ১১ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার কলেজ রোড, আলুকদিয়া বাজার, আকন্দবাড়ীয়া, ভালাইপুর মোড় এলাকায় অভিযান চালায় সদর উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় ২টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ২ হাজার ৫০০ অর্থদন্ড প্রদান করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান। পরে করা হয় মাস্ক বিতরণ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজে সহযোগীতা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সার্টিফিকেট সহকারী সোবহান আলীসহ বিজিবি ও আনসার সদস্যরা।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গায় কঠোর লকডাউনের ২য় দিনে কিছু সংখ্যক মানুষকে চলাচল করতে দেখা গেছে। শুক্রবার সকাল থেকে শহরে ঢুকার সমস্ত রাস্তা পুলিশের কড়া নজরদাড়িতে বাইরে থেকে কোন মানুষ প্রবেশ করতে পারিনি। তবে কিছু মানুষ সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে মোটরসাইকেল নিয়ে শহরে প্রবেশ করে গুনতে হয়েছে জরিমানা। বেলা সাড়ে ১০টা থেকে সহকারী কমিশনার ভ’মি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড হুমায়ন কবীর আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল টিম নিয়ে শহরের বিভিন্ন মোড়ে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করার ৯ জনকে জরিমানা করেন। জরিমানা প্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, পুরাতন বাজারের সুরেশ স্টোরের মালিক অমিতকে ৩ হাজার টাকা, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি রবিউল ইসলামের ৫শ টাকা, বাবলুকে ৫ম টাকা, মুন্সিগঞ্জের নুর ইসলামের ছেলে ফারুককে ৫শ টাকা, জগন্নাথপুরের কাঙ্গালী ম-লের ছেলে এনামুলকে ৫শ টাকা, হাইরোডের দত্ত স্টোরের মালিক হিমাংস দত্তকে ৫শ টাকা, ইবি থানার আড়পাড়া গ্রামের রবজেল আলীর ছেলে আজারুল ইসলামকে ৩শ টাকা, ছত্রপাড়া গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে ডাবলুকে ৫শ টাকা, ডাউকি গ্রামের মুনসাদ আলীর ছেলে টিটুকে ৫শ টাকা জরিমানা করেন।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, মহামারী করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে ১ জুলাই হতে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। জীবননগর উপজেলাতে কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে। কঠোর লকডাউন অমান্য করে কোনো কারণ ছাড়াই বাইরে বের হওয়ার কারণে গত দুই দিনে জীবননগরে মোবাইল কোর্ট ৬ জনকে জরিমানা করেছে। এর মধ্যে ট্রাক ডাইভার, মোটরসাইকেল চালক ও দোকানী রয়েছে। তাদেরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কঠোর লগডাউন প্রতিপালনে প্রথম দিনে জীবননগরে এক জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট টহলে ছিলো। এদিন সেনাবাহিনীর ও বিজিবির সদস্য ছাড়াও পুলিশ, বিএনসিস ও আনসার-ভিডিপি সদস্যরা টহলে ছিলো। গতকালও সহকারী কমিশনার ভূমি মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। গতকালের মোবাইল কোর্টে কঠোর লগডাউন আইন অমান্য করে কোন যৌতিক কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়ার কারণে ৩ জনকে ২ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়াও বৃহস্পতিবারও একই মোবাইল কোর্ট এক ট্রাক ড্রাইভারসহ ৩ জনকে ২ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা করে। কঠোর লগডাউন চলাকালে মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, সারাদেশের ন্যায় মেহেরপুরেও চলছে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন। বন্ধ রয়েছে এ্যাম্বুলেন্স জরুরি পরিবহন ব্যতিত স্থানীয় ও দূরপাল্লার সব ধরণের গণপরিবহন। বন্ধ রাখা হয়েছে ওষুধ ও খাদ্যের দোকান ব্যতিত সব ধরণের দোকান-পাট। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেরও মাঠে ছিল উপজেলা প্রশাসন। মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল আলমের নেতৃত্বে শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর করতে মেহেরপুর শহরের বিভিন্ন এলাকা এবং সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা ও আলমপুরের অভিযান চালানো হয়। এসময় তিনি সরকারি বিধিনিষেধ মানতে জনসচেতনার পাশাপাশি, দোকান-পাট বন্ধ রাখা ও অযথা বাহিরে ঘোরাফেরা না করতে জনগনকে সর্তক করেন। জনগণ শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুক তথা করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শও দেন তিনি। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও গতকাল শুক্রবার সেনাবাহিনীর সদস্যরা মেহেরপুর শহরে জনসচেতনতা মূলক অভিযান চালিয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মেহেরপুর শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে শুরু করে বড়বাজার পর্যন্ত সচেতনতামূলক অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যশোর সেনানিবাসের ২৭ আর্টিলারি ফিল্ড রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন নাহিয়ান ইমতিয়াজের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সদস্য এবং মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের সদস্যরা জনসচেতনতামূলক অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। এসময় বিনা কারণে রাস্তায় চলাচলকারী পথচারীদের সতর্ক করা হয়।
এদিকে মহামারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য মাঠে নেমেছে মেহেরপুর পুলিশ। এ জন্য চলমান লকডাউন কার্যকরের পাশাপাশি দমাস্ক পরার অভ্যেস, করোনামুক্ত বাংলাদেশ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে শতভাগ মাস্ক পরার জন্য উদ্বুদ্ধ করা এবং বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
এদিন বিকালের দিকে মেহেরপুর পুলিশের একটি দল মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার মোড় এবং পুরাতন বাস স্ট্যান্ড এলাকায় জনসচেতনতা মূলক প্রচারণা চালান। অযাথা ঘরের বাইরে বের না হওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়। একইসাথে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
অপরদিকে, মেহেরপুর চলমান লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক বিহীন বাইরে ঘোরাফেরা এবং চায়ের দোকানে অবস্হান করার অপরাধে ৪ ব্যক্তিকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করনে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম। তিনি জানান, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক ব্যবহার না করে চলাচল ও লকডাউনে চায়ের দোকানে অবস্হান করছেন সাধারণ মানুষ। এ পরিস্থিতিতে তিনি করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ও মাস্ক ব্যবহারে মানুষকে সচেতন করতে চায়ের দোকানে অবস্হান করার অপরাধে ৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে ৮ শ’ টাকা জরিমানা করেন। অভিযানকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যশোরের ২৭ ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন নাহিয়ান ইমতিয়াজের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী সদস্যরা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে লকডাউনে চলাকালে এদিন দুপুরের দিকে মেহেরপুর শহরের ওয়াপদা সড়কের একটি চায়ের দোকান খোলা দেখে সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুল আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে হাজির হন। এ পরিস্থিতিতে কেন তিনি দোকান খোলা রাখলেন? জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উত্তরে চা বিক্রেতা বললেন, পেটের দায়ে দোকান খুলতে বাধ্য হয়েছি। এমন কথা শুনে ইউএনও মাসুদুল আলম জরিমানার পরিবর্তে ১০ দিনের ত্রাণ সামগ্রীর একটি প্যাকেট তার হাতে তুলে দেন। এসময় তিনি বলেন, এ প্যাকেট নেন এবং দোকান বন্ধ করে ঘরে চলে যান। এসময় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সচেতন হতে নানান পরামর্শও দেন তিনি।
গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন ছিল শুক্রবার। দ্বিতীয় দিনে মেহেরপুরের গাংনীতে লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশের পাশাপাশি,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,সেনাবাহিনী,বিজিবি ও আনসার বাহিনীর টহল ছিল জোরদার। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দিনব্যাপি পুলিশ, সেনাবাহিনী-বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়নে সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অংশগ্রহণ করেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহম্মেদ আলী, গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান। এছাড়াও অভিযানে কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংশগ্রহণ করেন। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বিভিন্ন আঞ্চলিক বাজারের ওষধ ও খাদ্য সামগ্রীর দোকান বাদে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। মানুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুষের চলাচল ছিলো সীমিত।
এদিকে লকডাউনের কারণে বিশেষ করে শহর কেন্দ্রীয় ভ্যান,রিক্সা ও সিএনজিসহ অন্যান্য যানবাহনের চালকরা পড়েছে বিপাকে। জেলার অধিকাংশ যানবাহন চালকদের জীবিকা নির্বাহ হয় যান চলাচলের উপর নির্ভর করে। কিন্তু লকডাউনের কারণে তাদের সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তবে ইতােমধ্যে সরকারী ভাবে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষদের খাদ্য সামগ্রী দেয়ার লক্ষে তালিকা তৈরী প্রস্তুতি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শহরে লকডাউন কার্যকর হলেও গ্রামাঞ্চলের মানুষ লকডাউন পালনে অনিহা দেখাচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের মানুষ রীতিমত মাঠে-ঘাটে কাজ করে বেড়াচ্ছে। গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষের অভিযোগ লকডাউন পালন করতে হলে, খাদ্য অভাবে না খেয়ে মরতে হবে।
মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সাত দিনের কঠোর লকডাউন মুজিবনগরে সর্বাত্মক পালিত হচ্ছে। কঠোর লকডাউনের ২য় দিনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুজিবনগর সুজন সরকার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল আলমের নেতৃত্বে এবং বিজিবি, পুলিশ ও আনসার ব্যাটেলিয়ন এর সহযোগিতায় দিনব্যাপী পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ১৪টি মামলায় ১৪ জন ব্যক্তিকে ৪ হাজার ৭শ টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল শুক্রবার মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস বাজার, ভবেরপাড়া বাজার, কেদারগঞ্জ বাজার, সোনাপুর বাজার, বাগোয়ান বাজার, মোনাখালী বাজার, দারিয়াপুর বাজার, কোমরপুর বাজার ও মহাজনপুর বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় জরিমানাসহ পথচারীদের দাঁড় করিয়ে বাইরে আসার কারণ জানতে চান এবং পরবর্তীতে বাইরে না আসার আহ্বান জানান।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More