সরকারের মামলা অবজ্ঞা করে গাংনীর মাথাভাঙ্গা নদীর জমিতে আবারও চাষের চেষ্টা

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কেশবনগর গ্রামে মাথাভাঙ্গা নদীর সরকারি খাস জমি আবারও চাষের চেষ্টা করছে স্থানীয় কিছু মানুষ। নদীর প্রায় ১২ একর জমি ব্যক্তি মালিকানা রেকর্ড বাতিলের জন্য আদালতে মামলা চলমান। মামলা উপেক্ষা করে চাষ শুরু করায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অবশেষে চাষাবাদ বন্ধের জন্য জনস্বার্থে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। মানিকদিয়া গ্রামের তাইজেল আলী গতকাল বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কেশবনগর গ্রামের জালাল উদ্দীন, আলাল উদ্দীন, হাসিবুল ইসলাম, তুফান আলী, শফি, হায়দার আলী, পলান, বারেক, ইনামুল, আমারত, আসমত আলী, হালিম, মুছাসহ তাদের লোকজন গত ১০ জুন ট্রাক্টর দিয়ে নদীর জমি চাষ করে ফসল আবাদের চেষ্টা করছেন তারা।
অভিযোগে জানা গেছে, গাংনীর জনগুরুত্ব সম্পন্ন মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে অনেক জমি রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে নদী ভাঙনের কারণে পাড়ের জমি বৃদ্ধি পাওয়ায় তা দখলের সুযোগ নেয় স্থানীয় ওই পক্ষের লোকজন। বিষয়টি গোচরে এলে মেহেরপুর যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতে ২০১৩ সালে সরকারের পক্ষে মেহেরপুর ডেপুটি কালেক্টর একটি মামলা দায়ের করেন। সরকারি নদীর জমি ব্যক্তির নামে অবৈধ রেকর্ড বাতিল ও অবৈধভাবে ভোগ দখলের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে মামলাটি দায়ের করা যায়। যা আদালতে চলমান রয়েছে। মামলায় বিবাদী করা হয় কেশবনগর গ্রামের জালাল উদ্দীনসহ বেশ কয়েকজনকে।
অভিযোগকারী তাইজেল আলী বলেন, মামলা চলমান অবস্থায় দীর্ঘ ১২ বছর ধরে জমি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে খেলাধুলাসহ জনগণের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। যা স্থানীয়দের জন্য অনেক উপকার। গত বুধবার তারা আবারও জমি দখল করে চাষ শুরু করায় এলাকার মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। জনস্বার্থে তাই আমি লিখিত অভিযোগ করেছি। সরকারি এ জমি উদ্ধার ও চাষ করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরএম শাহীন শাহনেওয়াজ বলেন, সরকারের স্বার্থ রক্ষায় বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More