চুয়াডাঙ্গায় অনলাইনে থেকে এনআইডি কার্ড প্রিন্ট করে বিতরণ : অর্থ নেয়ায় ৪ যুবকের জরিমানা 

গড়াইটুপি প্রতিনিধি: মাইকিং করে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গড়াইটুপি বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র মুদ্রণ করে বিতরণের অভিযোগে চার যুবককে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান এ দন্ডাদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের খাঁপাড়ার এলেম হোসেনের ছেলে ছান্নান হোসেনসহ চারজন যুবক। দন্ডবিধির ২৯১ ধারা অনুযায়ি এ সাজা প্রদান করা হয়। এ সময় সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল হাসান, তিতুদহ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-সহকারি পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ এবং পেশকার সোবহান আলী উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার গড়াইটুপি বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চত্বরে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) মুদ্রণ ও বিতরণের কথা বলে মাইকিং করা হয়। সকাল ৯টা থেকে ৫০-৬০ টাকার বিনিময়ে সাধারণ মানুষকে সেবা দিতে থাকে ওই একদল যুবক। খবর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে জানান। বিষয়টি জানতে পেরে চারজনকে আটক করা হয়। এসময় মাইকিং করে এনআইডি বিতরণের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদেরকে দ- প্রদান করেন এবং অনলাইন মুদ্রণ এর বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রচার করবেন বলে মুচলেকা দেন তারা।
এ বিষয়ে তিতুদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকতার হোসেন জানান, অনলাইন কপি বিতরণ করার নাম করে ৬০টাকা করে নিচ্ছে অথচ আমি নিজেসহ ইউএনও স্যার এবং নির্বাচন কমিশন জানে না। বিষয়টি আমি ইউএনও মহোদয়কে জানিয়েছি তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন অভিযুক্তদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে প্রত্যেককে ১ হাজার করে মোট ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়ছে এবং সতর্ক করে তাদের কাছে থাকা ৩ টি ল্যাপটপ ও ১ টি প্রিন্টার তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। আগামীকাল (আজ) তারা পুনরায় এলাকায় মাইকিং করে জনগনের কাছে তাদের ভুল স্বীকার করে প্রচার করবে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত : সরকারি কোনো দফতরে নিজস্ব কোনো সরকারি দলিলের অনুরুপ কপি নাগরিকদের অনলাইনে মুদ্রণের জন্য কোন সুযোগ রাখেনি। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর একটি সরকারি দলিলের অনুরুপ কপি এরুপ উন্মুক্ত করা সঠিক বিবেচনা প্রসূত নয়। এতে করে জনগণের একদিকে যেমন অর্থের অপচয় হচ্ছে অন্যদিকে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়েছে। অনকে ক্ষেত্রে কিছু অসাধু ব্যক্তি নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে। জাতীয় পরিচয়পত্র একটি সরকারি সম্পত্তি যা নাগরিক প্রথমবার বিনামূল্যে পেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নিজস্ব তত্ত্বাবধানে জাতীয় পরিচয়পত্র দ্রুততার সাথে মুদ্রণ করে বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এরুপ অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়ানো সম্ভব। এর আগেও এই চার যুবক সদর উপজেলার বড়শলুয়া ও গিরিশনগর গ্রামে একই ধরণের কাজ পরিচালনা করে। এছাড়া জীবননগর উপজেলা কেডিকে ইউনিয়নে একই ধরণের ঘটনায় সংঘবদ্ধ অপর একটি চক্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ২ হাজার টা

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More