নানাবাড়িতে ঈদ করা হলো না শিশু সাদিয়ার

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আলমসাধুর চাকায় পিষ্ট হয়ে সাদিয়া আক্তার নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার পীরপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সাদিয়া আক্তার একই উপজেলার গাইটঘাট গ্রামের সবুজ আলীর মেয়ে। সে ঈদ করতে নানাবাড়িতে এসেছিলো।
এলাকাসূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন আগে সাদিয়া আক্তার (৪) ঈদ করতে মায়ের সঙ্গে নানাবাড়ি পীরপুর গ্রামে আসে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে সে নানির সঙ্গে বাড়ির পাশে দোকানে যায়। ফেরার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় অবৈধ আলমসাধু (শ্যালোইঞ্জন চালিত) চাপা দেয় তাকে। এসময় শিশু সাদিয়ার পেটের ওপর দিয়ে আলমসাধুর চাকা চলে যায়। এতে গুরুতর আহত হয় শিশু সাদিয়া। পরে স্থানীয়রা সাদিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস মৃত বলে ঘোষণা করেন সাদিয়াকে।
শিশু সাদিয়ার বাবা কৃষক সবুজ আলী বলেন, আমার দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে সাদিয়া আক্তার ছোট। নানীর সাথে সকালে দোকানে গিয়েছিলো আমার মেয়ে। নানী আগে রাস্তা পার হয়ে যায়। পরে আমার মেয়ে রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগতির একটি আলমসাধুর চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যায় সে। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে বাবা-মা যেনো পাগল প্রায়। সাদিয়ার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার মাথা, পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার পূর্বেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা গেছে সাদিয়া। তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ খান বলেন, ‘শিশুর পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।’

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More