ইংল্যান্ডের জয় ছিনিয়ে সিরিজে সমতা ভারতের

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারত আর ইংল্যান্ডের মধ্যকার শেষ টেস্ট রঙ বদলিয়েছে ক্ষণে ক্ষণে। তবে ওভালে এ ম্যাচের সব নাটক যেন জমা ছিল শেষ দিনের জন্য। পঞ্চম দিনে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৩৫ রান আর ভারতের দরকার ছিল ৪ চার উইকেট। সুতোয় ঝুলতে থাকা এ ম্যাচ শেষ পর্যন্ত জিতেই নিয়েছে শুবমান গিলের দল। দিনের শুরুতেই আউট হন ইংলিশদের একমাত্র ব্যাটার জেমি স্মিথ। এরপর টেইলএন্ডারদের নিয়ে লড়াই জমিয়ে তুলেছিলেন গাস এটকিনসন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ভাঙা কাঁধ নিয়ে ব্যাট করতে নেমেও জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলেন না ক্রিস ওকস। মোহাম্মদ সিরাজের বলে এটকিনসন আউট হলে ৬ রানের জয় পায় সফরকারীরা। পঞ্চম দিনের শুরুতে ইংল্যান্ড যখন ব্যাট করতে নামেন তখনো বেশিরভাগ ক্রিকেটপ্রেমীর বাজি ছিল ইংল্যান্ডের পক্ষেই। কেননা ব্যাটিংয়ে ছিলেন জেমি স্মিথ, সঙ্গে ছিলেন জেমি ওভারটন। তবে প্রথমেই হতাশ করেন স্মিথই। বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে কেবল তিনিই ছিলেন। কিন্তু দিনের শুরুতেই মোহাম্মদ সিরাজের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে আউট হন তিনি। ম্যাচের মোড়ও ঘিরে যায় এখানেই। এরপর ওভারটনকেও লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলে আউট করেন সিরাজ। জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের তখনো দরকার ২০ রান, হাতে আছে কেবল ২ উইকেট। এর মধ্যে আবার ক্রিস ওক্সের কাঁধ ভাঙা। এমন সময়ে প্রসিধ কৃষ্ণের বলে বোল্ড হয়ে আউট হন জশ টাং। ভারতের জয় তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এদিকে ভাঙা কাঁধ নিয়েই ব্যাট করতে নামেন ওকস, এক হাত তার সিøংয়ে ঝোলানো। তবে ওকসকে নিয়ে ভালোই লড়েছেন এটকিনসন। ভারতীয় বোলার আর ফিল্ডারদের বোকা বানিয়ে দুইবার ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নিতেও সক্ষম হন তিনি, যেন এক হাতে ব্যাট করতে না হয় ওকসকে। এদিকে এটকিনসন তখন খেলছিলেন বড় শট, যেন দ্রুত দলকে জেতাতে পারেন। জয়ের খুব কাছাকাছিই পৌঁছে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। জয়ের জন্য তখন দরকার আর ৭ রান, এমন সময়েই সিরাজের বলে বোল্ড হন এটকিনসন। আর তাতে ৬ রানের জয়ে ৫ টেস্টের সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করল ভারত।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More