স্টাফ রিপোর্টার: ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি মাঠে গড়িয়েছে আজ। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে বোলিং করে টাগাররা। বোলারদের দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সে সফরকারীরা অলআউট হয় মাত্র ১১০ রানেই। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্বাগতিকরা শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল। তবে ওপেনার পারভেজ ইমনের লড়াকু ফিফটির সুবাদে ২৭ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয়ে সিরিজে লিড নিয়েছে লাল-সবুজের দল।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই আউট হন ওপেনার তানজিদ তামিম। সালমান মির্জার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তিনি আউট হন ফখর জামানের মুঠোবন্দী হয়ে।
এরপর ক্রিজে ওরেক ওপেনার পারভেজ ইমনের সঙ্গী হন অধিনায়ক লিটন। তবে তিনিও আউট হন দ্রুতই। তৃতীয় ওভারে সালমান মির্জার বলে আউট হন তিনি। এবার ক্যাচ নেন খুশদিল শাহ। ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ার পর ক্রিজে ইমনের সঙ্গী হন তাওহিদ হৃদয়।
হৃদয়-ইমন মিলে তৃতীয় উইকেটে গড়েছিলেন ৭২ রানের জুটি। এ জুটতেই জয়ের ভিত গড়ে টাইগাররা। দলীয় ৮০ রানে হৃদয় ৩৬ রান করে সাজঘরে ফিরলেও এরপর আর জু পেতে বেগ পেতে হয়নি টাইগারদের।
আর এই জয়ে মূল অবদান রেখেছেন ইমন। ৩৪ বলে নিজের ফিফটির দেখা পান তিনি। টাইগার ওপেনারের ৫ ছয় আর ৩ চারে খেলা ৩৯ বলে ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদেই বড় জয়ে সিরিজে লিড নেয় বাংলাদেশ।
এর আগে বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন টাইগার বোলাররা। ইনিংসের চতুর্থ বলেই আউট হতে পারতেন পাকিস্তানি ওপেনার ফখর জামান। মেহেদী হাসানকে দ্বিতীয় বলে চার মারা পাকিস্তানি ওপেনার চতুর্থ বলেই ক্যাচ তুলেছিলেন। তব সহজ ক্যাচ মুঠোবন্দী করতে পারেননি তাসকিন।
তবে প্রথম ওভারেই ক্যাচ মিস করা তাসকিন দ্বিতীয় ওভারেই নিজের করা প্রথম ওভারেই তাসকিন আউট করেন সাইম আইয়্যুবকে। তার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন পাকিস্তানি এ ওপেনার।
এদিকে সাইম আউট হওয়ার পরের ওভারেই সাজঘরের পথ ধরতে হয় মোহাম্মদ হারিসকে। মেহেদী হাসানের করা পরের ওভারেই শামিম হোসেনের মুঠোবন্দী হয়ে আউট হন হারিস। এরপর দ্রুত আরও ২ উইকেট হারায় ম্যান ইন গ্রিনরা।
পঞ্চম ওভারে তানজিম সাকিবের বলে উইকেটকিপার লিটন দাসের গ্লাভসবন্দী হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন পাকিস্তানি অধিনায়ক সালমান আঘা। এরপরের ওভারেই মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে রিশাদ হোসেনের তালুবন্দী হয়ে আউট হন হাসান নওয়াজ।
নওয়াজ ফেরার পর আর খুব বেশি সময় ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি ফখর। দুইবার জীবন পাওয়া এই ওপেনার শেষ পর্যন্ত আউট হন রান আউট হয়ে। এর আগে তিনি করেন ৪৪ রান। দ্রুত উইকেট হারিয়ে একশর আগেই অল আউট হওয়ার শঙ্কায় ছিল পাকিস্তান। তবে শেষদিকে আব্বাস আফ্রিদির ২২ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত অল আউট হওয়ার আগে ১১০ রানের দেখা পায় পাকিস্তান।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.