এক ম্যাচ হাতে রেখেই শেষ ষোলতে ব্রাজিল

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ম্যাচের বয়স তখন ৮৩ মিনিট। ক্যাসিমেরোর নেয়া শট ডিফেন্স ভেদ করে সুইজারল্যান্ডের জালে। কোচ তিতে কোচিং স্টাফকে জড়িয়ে ধরে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লেন। ক্যাসিমেরোর এই গোলেই যে ব্রাজিল সুইজারল্যান্ডকে হারানোর পাশাপাশি দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছে। ৬৪ মিনিটেও একবার ডেডলক ভেঙেছে ব্রাজিল। এক মিনিট উতসবও হয়েছিল। মুহূর্তের মধ্যে নেমে আসে নিস্তব্ধতা। ভিএআরে গোল বাতিল। কারণ অফসাইড। সেই গোল বাতিল হলেও খেলায় ব্রাজিলের প্রাধান্য ফিরে আসে। বারবার সুইসদের আক্রমণ করে তিতের শিষ্যরা। কখনো সুইস রক্ষণে প্রতিহত আবার কখনো গোলরক্ষকে বাধা আবার কিছু সময় ফিনিশিং দুর্বলতা৷

ম্যাচের সময় ৮০ পেরিয়ে যাওয়ার পর ড্রয়ের শঙ্কা ভর করে ব্রাজিল শিবিরে। কোচ তিতে দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক খেলোয়াড় ও কৌশল পরিবর্তন করে গোলের চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন৷ ক্যাসিমেরোর শট বল জালে জড়ালে উল্লাসে ফাটে ৯৭৪ স্টেডিয়ামের গ্যালারী। কন্টেইনার নির্মিত হওয়ায় ব্রাজিল সমর্থকদের লাফানোর স্পন্দন পাওয়া গিয়েছিল বিশেষভাবে। আগের ম্যাচে ছন্দ ও গতিময় ব্রাজিলেট সঙ্গে আজকের ব্রাজিলকে পাওয়া যায়নি৷ এর পেছনে অন্যতম কারণ নেইমার ও দানিলোর অনুপস্থিতি। নেইমার শুধু নিজেই খেলেন না তার উপস্থিতি দলের জন্য অনেকটা প্রাণ সঞ্চারও৷ এই ম্যাচে ব্রাজিল জিতলেও মাঝমাঠ ও প্রতিপক্ষের বক্সে ঝলক সেভাবে দেখাতে পারেনি।

সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ মুখোমুখি রেকর্ড সুবিধাজনক ছিল না। ১৯৫০ ও ২০১৮ দুই লড়াইয়ে ব্রাজিল ড্র করেছিল। এইবার সুইস বাঁধা অতিক্রম করেছে। সুইজারল্যান্ড আজ ভালো রক্ষণের পাশাপাশি প্রথমার্ধ ভালো আক্রমণও করেছিল। সুইজারল্যান্ড আজ হারলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়নি। শেষ ম্যাচে সার্বিয়াকে হারালে সুইসরা পরের রাউন্ডে খেলবে। ড্র করলে সেক্ষেত্রে তাকিয়ে থাকতে হবে ব্রাজিল ক্যামেরুন ম্যাচের দিকে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More