এজবাস্টন টেস্টে বাড়তি সুবিধা পেতে বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য অনেকটা ছোট করেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। বেশি রান করার জন্যই বাউন্ডারি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। নারী ক্রিকেটারদের ম্যাচেও এত ছোট বাউন্ডারি দেখা যায় না।
টেস্টের প্রথম দিন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারেরাই দাবি করলেন, বেশি রান তোলার জন্য বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী পিচ থেকে বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য ৫৯-৯০ মিটার হতে হবে। এজবাস্টনে উইকেটের সোজাসুজি বাউন্ডারির দূরত্ব ৬০ মিটার রাখা হয়েছে। দীর্ঘতম দূরত্ব ৬৫ মিটার।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পাঁচ থেকে ১০ মিটার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বাউন্ডারি। বলা হচ্ছে, ভারতের দুই স্পিনারকে অকেজো করে আগ্রাসী খেলতেই না কি ইংরেজরা এই নীতি নিয়েছে।
ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা পেসার স্টিভেন ফিন বিবিসিতে বলেছেন, আমরা এজবাস্টনে দাঁড়িয়ে আছি। এখন আমি ঠিক বাউন্ডারির দড়ির সামনে। সাধারণ টেস্ট ম্যাচে যা দেখি, তার থেকে অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বাউন্ডারি। টসে জিতে বল করা এবং চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করার যে নীতি নিয়েছে ইংল্যান্ড, তাতে এই পদক্ষেপ সাহায্য করতে পারে। হয়তো সে কারণেই বাউন্ডারি ছোট করে দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ বিশ্বকাপেও এই কৌশল নিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেবার এক দিকের বাউন্ডারি এতটাই ছোট ছিল যে আপত্তি জানায় ভারত। সেই ম্যাচে কুলদীপ যাদব এবং যুজবেন্দ্র চাহাল অনেক রান দিয়েছিলেন। ২০ বছর আগে অ্যাশেজ চলাকালীন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একই পন্থা নিয়েছিল ইংল্যান্ড।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.