ধোঁয়াশায় ভারত সিরিজ, সব প্রস্তুতি স্থগিত করল বিসিবি

ভারত-বাংলাদেশ মধ্যকার আসন্ন ক্রিকেট সিরিজ প্রায় নিশ্চিতভাবেই বাতিল বা স্থগিত হতে যাচ্ছে। আগামী আগস্টে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। কিন্তু দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে সিরিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ইতিমধ্যে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ নিয়ে সব প্রস্তুতি স্থগিত করেছে, জানিয়েছে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। বিসিবি কর্মকর্তারা জানান, ভারত সফরে আসার তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। বিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘তারা (বিসিসিআই) বলেছে আগস্টে আসা তাদের জন্য কঠিন। এটা এফটিপির অংশ।’

মূলত এই সিরিজ থেকে মোটা অঙ্কের আয় হওয়ার কথা ছিল বিসিবির। তাই এই সিরিজকে ঘিরে মিডিয়া স্বত্ব বিক্রির পরিকল্পনাও করেছিল বিসিবি। তবে ভারত সিরিজ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় বিসিবি শুধু পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের স্বত্ব বিক্রি করার পথে হাঁটছে।

ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম ক্রিকবাজকে এক ব্রডকাস্টার বলেন, ‘তারা জানিয়েছে ভারত সিরিজ নেই। টেন্ডার ঘোষণার পরও আইটিটি দেয়নি। আপাতত তারা শুধু পাকিস্তান সিরিজের জন্য স্বত্ব বিক্রি করছে।’

আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না এলেও ধারণা করা হচ্ছে, সাম্প্রতিক কূটনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভারত সরকার বিসিসিআইকে বাংলাদেশ সফরে যেতে নিরুৎসাহিত করেছে। বিষয়টি নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা। দুই বোর্ডের পক্ষ থেকে একসাথে যৌথ বিবৃতি আসতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে বিসিবি জুলাই ১৭ থেকে ২৫ পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য মিডিয়া স্বত্ব বিক্রি করছে। এ সিরিজের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বত্ব বিক্রি প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিসিবির এক কর্মকর্তা।

বিসিবি প্রাথমিকভাবে মিডিয়া স্বত্ব তিন ভাগে বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল – স্যাটেলাইট টিভি, ডিজিটাল ও ডিটিএইচ স্বত্ব। পরে টেন্ডারে আরও নমনীয়তা এনে বৈশ্বিক বা অঞ্চলভিত্তিক স্বত্ব বিক্রির সুযোগ রেখেছিল।

মৌলিক সূচি অনুযায়ী ২০২৫ থেকে ২০২৭ সালের মে পর্যন্ত বাংলাদেশ মোট ৪৯টি হোম ম্যাচ খেলবে, যার মধ্যে রয়েছে ৮টি টেস্ট, ২০টি ওডিআই এবং ২১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাভ হতে পারত ভারত সিরিজ থেকে। তবে সে সিরিজ নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে বিসিবির আয়ের বড় উৎস অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More