স্টাফ রিপোর্টার:জাতীয় দলে এসেছিলেন দীর্ঘ দিন পর। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফর্মে ছিলেন সাদা বলের দুই ফরম্যাটেই। তবে নাঈম শেখ সে ছাপটা ফেলতে পারেননি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
এই ব্যর্থতার ফলে আরও সমালোচনার মুখে পড়েছেন নাঈম। এই ব্যর্থতা পেছনে ফেলতে হলে কী করতে হবে, তা নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান। তিনি মনে করেন নাঈমকে ভালো করতে হলে অ্যাপ্রোচটা বদলাতেই হবে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আকরাম বলেন, ‘নাঈম একজন ভালো খেলোয়াড়। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ছয় ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে টেকনিকের থেকে অ্যাপ্রোচ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, শেষ ম্যাচে পাকিস্তান ১৭৮ করেছিল, তখন আমাদের প্রথম ছয় ওভারে কমপক্ষে ৬০ এর কাছাকাছি যাওয়া উচিত ছিল। অবশ্যই ব্যাটারদের ডমিনেট করে খেলতে হবে, না হলে বোলাররা চড়ে বসবে। নাইমের এই জায়গায় ভালো করতে হবে।’
প্রায় ৩ বছর পর নাঈম জাতীয় দলে ফিরেছেন। মূলত পারভেজ হোসেন ইমন আর তানজিদ হাসান তামিমের বিকল্প হিসেবে তাকে তৈরি রাখতেই এই সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভিন্ন ভূমিকাতেও দেখা গেছে। সেখানেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। পাল্লেকেলেতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তাকে নামানো হয়েছিল ৪ নম্বরে। ৩২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন বটে, কিন্তু তা খেলতে তিনি বল খেলেছেন ২৯টি।
এরপর পাকিস্তান সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল ওপেনার হিসেবে। সেখানে তিনি ১০০ স্ট্রাইক রেটেই রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিনি ৭ বলে করেছেন ৩ রান। শেষ টি-টোয়েন্টিতে অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে তার। ১০ রান করেছেন তিনি ১৭ বল খেলে। স্ট্রাইক রেট মোটে ৫৮.৮২, আজকাল টেস্টেও এমন স্ট্রাইক রেটের দেখা মেলে না!
নাঈম শেখের পুরো ক্যারিয়ার অবশ্য এগিয়েছে এভাবেই। ভারতের বিপক্ষে অভিষেক সিরিজে ৮১ রানের ওই ইনিংস বাদে বড় কিংবা কোনো ‘ইমপ্যাক্ট’ ইনিংস নেই। ৮৬০ রান করেছেন ২৩.৮৮ গড় আর ১০২ স্ট্রাইক রেটে।
এবার ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েও লাভ হয়নি। ফলে তার ব্যাটিংয়ে ব্যাপক পরিবর্তন দরকার, মনে করেন আকরাম। তিনি বলেন, ‘নাইম শেখ ভালো খেলোয়াড়, ঘরোয়া ক্রিকেটেও অনেক ভালো করেছে। কিন্তু ওর অ্যাপ্রোচটা যদি বদলায় তাহলে হয়তো ও আরো ভালো করতে পারবে।’
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.