স্টাফ রিপোর্টার: সেপ্টেম্বর ফিফা উইন্ডোতে বাংলাদেশ নেপালের বিপক্ষে দু’টি প্রীতি ম্যাচ খেলবে। সেই ম্যাচের জন্য ইতোমধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি শুরু করেছে নেপাল। ৩০ জন ফুটবলার নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান কোচ ম্যাট রসের অধীনে কাঠমান্ডুতে পূর্ণাঙ্গ অনুশীলন চলছে। বাংলাদেশ দুই দিন আগে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু করলেও আজ মাঠে মাত্র ১২ জন নিয়ে অনুশীলন হয়েছে। বসুন্ধরা কিংস ১০জন ফুটবলার ছাড়েনি। এরপরও অনুশীলন চালিয়েছেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। প্রথম অনুশীলনে খুব কম সংখ্যক খেলোয়াড়, তাই গণমাধ্যমকে ছবি-ভিডিও গ্রহণের সুযোগ না দিয়ে ক্লোজড ডোর সেশন করেছেন তিনি। বসুন্ধরা কিংসের কর্মকর্তারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। বাফুফে কর্মকর্তারাও এই পরিস্থিতিতে সামনে আসতে চাইছেন না। মিডিয়ার অনুরোধে শেষ পর্যন্ত দলের ম্যানেজার আমের খানকেই এগিয়ে আসছে আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের জন্য। তিনি বলেন, ‘আমরা আজ দুপুরের পর জানতে পারি বসুন্ধরা কিংস খেলোয়াড় ছাড়ছে না। এটা অবশ্যই কোচের জন্য কঠিন। এরপরও অনুশীলন ১২-১৩ জন দিয়ে ফুটবলে অনুশীলন অসম্ভব। বসুন্ধরা কিংস কবে নাগাদ খেলোয়াড় ছাড়বে সেই নিশ্চয়তাও নেই। তাই ম্যানেজারের কণ্ঠে তরুণ খেলোয়াড়দের ডাক পাওয়ার আভাস, ‘আমাদের ম্যানেজমেন্টকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা নিশ্চয়ই কোনো সিদ্ধান্ত কিংবা নির্দেশনা দেবেন। তরুণ কয়েকজনকে ডেকে অনুশীলন চলতে পারে। বসুন্ধরা কিংস এখন খেলোয়াড় না ছাড়লেও সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে খেলার সময় ছাড়বে। এখন প্রাক মৌসুমের প্রস্তুতি ও ইনজুরির জন্য তারা অপরাগতা প্রকাশ করে চিঠি দিয়েছে।’ ঢাকা আবাহনী অ-২৩ ও জাতীয় দলের জন্য মোট ১০ জন খেলোয়াড় ছেড়েছে। অন্য ক্লাবগুলোও খেলোয়াড় ছেড়েছে দেশের স্বার্থে, সেখানে বসুন্ধরা কিংসের এমন আচরণ বড় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল আরও দুই সপ্তাহ আগে থেকে অনুশীলন শুরু করে। নেপালের সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক প্রঞ্জল অলি জাতীয় দলের প্রস্তুতি সম্পর্কে বলেন, ‘এখন ক্যাম্পের দ্বিতীয় ধাপ চলছে। প্রথম ধাপে একেবারে নতুন ৩০ জন ছিল। সেখান থেকে ১০ জন দ্বিতীয় ধাপে জায়গা পেছেন। নতুন জনের সঙ্গে সিনিয়র ও অভিজ্ঞ ২০জন নিয়ে এখন দ্বিতীয় ধাপের অনুশীলন চলছে।’
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.