ঋতুপর্ণা চাকমার মা বড় জগতি চাকমা ফোনটা ধরিয়ে দিলেন ঋতুর ভগ্নিপতি সুদীপ চাকমাকে। রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের দুর্গম গ্রাম মগাছড়িতে এই উইঙ্গারের বাড়িতে বৃহস্পতিবার আনন্দের রেণু উড়ছিল।
গত পরশু ইয়াঙ্গুনে মেয়ের জোড়া গোলে বাংলাদেশ মিয়ানমারকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে। এই জয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের মেয়েরা খেলবেন এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে। মা তো খুশি হবেনই। ঋতুর সঙ্গে কথা হয়েছে ম্যাচের পরেই। চার বোনের মধ্যে সবার ছোট ঋতু মিয়ানমার-বধের পর ফোনে মাকে বলেছেন, ‘তোমার আশীর্বাদ ছিল। তাই ভালো খেলেছি।’
কি নেই ঋতুর খেলায়? অসাধারণ ড্রিবলিং। চোখ ধাঁধানো ফ্রিকিক। বল তার পায়ে যেন সৌন্দর্য খুঁজে পায়।
তিন বছর আগে ছোট ভাই পার্বন চাকমাকে হারিয়েছেন। শোককে শক্তিতে পরিণত করে নেপালকে হারিয়ে প্রথম সাফের শিরোপা জিততে বাংলাদেশকে সহায়তা করেছিলেন। ছোট ভাইয়ের জন্য মন কেঁদেছে, বুঝতে দেননি কাউকে। বাঁ-পায়ের জাদু দেখিয়েছেন।
গত বছর একই মাঠে দেশকে দ্বিতীয়বার সাফের শিরোপা এনে দিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। এবার মিয়ানমারে এএফসি মেয়েদের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ঋতুপর্ণার পায়ের জাদুতে নতুন ইতিহাস লিখেছে বাংলাদেশ। তার জোড়া গোলে মিয়ানমারকে হারিয়ে এই প্রথম এশিয়ান কাপে খেলবে বাংলাদেশ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.