মন মানে না মুশফিকের : সাড়া দেয়নি বিসিবি

স্টাফ রিপোর্টার: করোনার করালগ্রাসে বন্ধ দেশের সব ক্রিকেটীয় ইভেন্ট। সংক্রমণ এড়াতে গৃহবন্দি জীবনযাপন করছেন ক্রিকেটাররা। সময় কাটাতে নানা পথ বেছে নিচ্ছেন তারা। কিন্তু আর কত? দীর্ঘ লকডাউনে ঘরে বসে একঘেয়েমি ধরে গেছে তাদের। লম্বা বিরতি প্রভাব ফেলেছে খেলোয়াড়দের মনে। পর্যাপ্ত অনুশীলন করতে পারছেন না তারা। পাশাপাশি ফিটনেসে ঘাটতি পড়ছে। ফলে অনেক ক্রিকেটারই মাঠে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তাদেরই একজন বাংলাদেশ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। বাসায় ফিটনেসের কাজ করে নিজেকে সন্তুষ্ট রাখতে পারছেন না তিনি। তাই মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একক (ব্যক্তিগত) অনুশীলন করতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে আবেদন করেছিলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। কিন্তু তাকে নিরাশ করেছে বিসিবি। তার এ আবেদনে সাড়া দেয়নি দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন তারা। মুশফিককে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছে বোর্ড। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এমন বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে নারাজ তারা। তাদের পরিকল্পনা জীবাণুমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার পর সবাইকে অনুশীলনে নিয়ে আসার। এ প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, কাউকে একা অনুশীলনের অনুমতি দেয়া যায় না। কারণ এটি শুধু একজনের ব্যাপার নয়। মাঠ ও উইকেট প্রস্তুত করার লোক রাখতে হবে, তাকে সহায়তা করতে কয়েকজন নেট বোলার লাগবে। আরও কিছু পারিপার্শ্বিক বিষয়াদি আছে। সব মিলিয়ে ব্যাপারপি ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি বলেন, এটি আসলে অনুমতি না দেয়ার ঘটনা নয়। আমরা কেবল পরিস্থিতি তুলে ধরেছি। মুশফিক খুবই সেন্সিবল (বোধসম্পন্ন)। ও সেটি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে। যখন সময় হবে, সবার জন্য একই রকম নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করে অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হবে। পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরে শেষ পর্যন্ত নিজের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন মুশি। তিনি বলেন, আসলে মন মানে না। তাই নিজের মতো করে প্র্যাকটিসের অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু উনারা বলার পর আমি বিষয়টি বুঝতে পেরেছি। মিরপুর এলাকার অবস্থা খুব ভালো নয়। ট্রেনিংয়ে মাঠকর্মীসহ আরও যারা থাকবেন অনুশীলনে, সবাইকে কোয়ারেন্টিনে রাখাও কঠিন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More