সাইফ হাসানের উত্থান: দেড় মাসে দেশের সেরা ব্যাটার থেকে আইসিসি টপ-২০ তে স্থান অর্জন

স্টাফ রিপোর্টার:এক সময় দলে সুযোগ না পাওয়ার হতাশায় ভুগছিলেন সাইফ হাসান, আজ তিনি দেশের সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটার হিসেবে আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ বিশের সদস্য। মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই তার পারফরম্যান্স ও ধারাবাহিকতা এমন এক মাইলফলক স্পর্শ করেছে যা বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য গর্বের বিষয়।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজে দলে ফিরে আসার পর থেকেই সাইফের ব্যাটে ঝড় উঠেছে। দীর্ঘদিনের অনুশীলনের ফলেই তার ইনিংসগুলোতে দৃঢ়তা ও আত্মবিশ্বাস দেখা গেছে। এশিয়া কাপের আফগানিস্তান ম্যাচে অভিষেকেই ৩০ রানের একটি গুরুত্বপূর্ন ইনিংস খেলেছিলেন তিনি, যা দলের জন্য এক ইতিবাচক সূচনা হিসেবে কাজ করেছিল। এরপর শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিরুদ্ধে ফিফটির মাধ্যমে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন সাইফ। আফগানিস্তান সিরিজের শেষ ম্যাচেও তার দারুণ ফিফটি দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছে।

এই ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের ফলস্বরূপ তাড়াতাড়ি আইসিসি টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে সাইফের। প্রথমবারের মতো তিনি শীর্ষ বিশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন এবং বর্তমানে ১৮তম স্থানে অবস্থান করছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এটি একটি বিশেষ মুহূর্ত, কারণ এই অবস্থানে থাকা অন্য কোনো বাংলাদেশি ব্যাটার নেই। সাইফ এখন দেশের সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটার হিসেবে স্বীকৃত।

সাইফের পাশাপাশি তানজিদ হাসান, তামিম ইকবাল ও পারভেজ হোসেন ইমনও র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন। বিশেষ করে তামিম ৬ ধাপ এগিয়ে ৩৭ নম্বরে এবং ইমন ১৮ ধাপ এগিয়ে ৫৩তম স্থানে উঠেছেন।

বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান ১২ নম্বরে অবস্থান করছেন এবং নাসুম আহমেদ ৮৭ ধাপ লাফ দিয়ে ৪৪তম স্থানে উঠে এসেছেন, যা তার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় উন্নতি। তানজিম হাসান সাকিব আল হাসানের পেছনে ৩৩তম স্থানে আছেন এবং শরীফুল ইসলাম ২১ ধাপ উন্নতি করে ৪৯তম স্থানে অবস্থান করছেন।

সাইফ হাসানের এই সাফল্য শুধু ব্যক্তিগত অর্জন নয়, এটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সামগ্রিক উন্নতির প্রতিফলন। আইসিসির র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশীয় খেলোয়াড়দের ভালো অবস্থান দেশের ক্রিকেটের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাত্রা বাড়বে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের অবস্থান আরো মজবুত হবে।

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজে রশিদ খানের পারফরম্যান্সও উল্লেখযোগ্য। তিন ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে তিনি বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে ৬ ধাপ এগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। রশিদের এ সফলতা আফগানিস্তান দলকে শক্তিশালী অবস্থানে রাখছে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এই খবর অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। দেশের ক্রিকেটাররা নিজেদের দক্ষতা ও মান উন্নয়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের জায়গা করে নিচ্ছেন, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আরো শক্তিশালী করবে। তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য এটি অনুপ্রেরণা, যারা কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্যের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করতে চায়। বিশেষ করে ওয়েবসাইটের পাঠকদের জন্য এটি জানার বিষয় যে, বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন এমন পর্যায়ে এসেছে যেখানে তারাই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম হচ্ছে।

আইসিসি অফিসিয়াল র‌্যাঙ্কিং, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (BCB) নিউজ

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More