বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ইতিহাসই অপেক্ষা করছিল। ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে কোয়াড্রুপল সেঞ্চুরির দুয়ারে দাঁড়িয়ে ছিলেন উইয়ান মুল্ডার। ব্রায়ান লারার ২১ বছর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গড়া অপরাজিত ৪০০ রানের রেকর্ডটা তখন হুমকির মুখে।
ঠিক তখনই অ্যান্টি ক্লাইম্যাটিক একটা কাজ করে বসলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। না, উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে ফেরেননি। যা করলেন, সেটা আরও বেশি হতভম্ব করে দিল ক্রিকেট বিশ্বকে। তিনি ইনিংসই ঘোষণা করে বসলেন। মুল্ডার কেন এ কাজটা করলেন, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ ছিল না। অবশেষে তিনিই বিষয়টা পরিস্কার করলেন।
দিনের খেলা শেষে তিনি বললেন, ‘প্রথমত, ইনিংসটা ঘোষণা করেছি, কারণ আমাদের যথেষ্ট পুঁজি চলে এসেছিল।’
২১ বছর আগে গড়া লারার রেকর্ডটা ভাঙা হয়নি তার। তবে তার পথে তিনি ভেঙে ফেলেছেন একাধিক রেকর্ড। ৩০০’র বেশি রানের ইনিংসে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট এখন তারই।
এর আগে ১০০’র বেশি স্ট্রাইক রেটে ট্রিপল সেঞ্চুরি স্রেফ বীরেন্দর শেবাগের দখলে ছিল, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টে ক্যারিয়ার-সেরা ৩১৯ রান তিনি করেছিলেন ৩০৪ বলে, ১০৪.৯৩ স্ট্রাইক রেটে। তবে ২০০৮ সালে গড়া শেবাগের সেই রেকর্ডটাকে দুইয়ে ঠেলে দিয়ে মুল্ডার ৩৬৭ রানের অপরাজিত ইনিংসটা খেলেছেন ৩৩৪ বলে, ১০৯.৮৮ স্ট্রাইক রেটে।
তাতেই আফসোসটা বেড়ে যাচ্ছে। যে গতিতে এগোচ্ছিলেন মুল্ডার, তাতে লারার রেকর্ডটা ভাঙতে তার লাগত মোটে ৩১ বল।
তবে তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের মনোযোগই ছিল না। কেন ছিল না? দিন শেষেই পরিস্কার করলেন তিনি। বললেন, ‘ব্রায়ান লারা একজন কিংবদন্তি। তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪০০ বা ৪০১ করেছিলেন। আর তার মতো একজনের কাছে রেকর্ডটা থাকা বিশেষ কিছু।’
রেকর্ডটা লারার কাছেই থাকুক, কোচের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলাপ করেছিলেন মুল্ডার। তিনি বলেন, ‘শুকস (শুকরি কনরাড) এর সঙ্গেও আমি কথা বলেছি, কিংবদন্তিদের কাছেই রেকর্ডটা রাখার ব্যাপারে কথা হয়েছিল আমার। লারার কাছেই রেকর্ডটা থাকা দরকার বলে মনে হয়েছে আমাদের।’
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.