ঘরের মাঠেই হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই খেলায় হেরে আগেই সিরিজ হাতছাড়া করে স্বাগতিকরা।
রোববার তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়ার জন্য ছিল হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর। নিজেদের দেশের মাঠে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে নেমে রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব চালান টপঅর্ডার চার ব্যাটসম্যান ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, ক্যামেরন গ্রিন ও অ্যালেক্স ক্যারি।
এই চার ব্যাটসম্যানের মধ্যে প্রথম তিনজন সেঞ্চুরি হাঁকান। ওপেনার ট্রাভিস হেড ১০৩ বল মোকাবেলা করে ১৭টি চার আর ৫টি ছক্কর সাহায্যে করেন দলীয় সর্বোচ্চ ১৪২ রান। ৭৬ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে এটা তার তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
এই ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় দ্রুততম (৪৭ বল) সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন গ্রিন। এর আগে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৪০ বলে সেঞ্চুরি করেন ২০২৩ সালে, প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস।
ক্যামেরন গ্রিন মাত্র ৫৫ বল মোকাবেলা করে ৬টি চার আর ৮টি ছক্কার সাহায্যে ১১৮ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। ১০৬ বলে ৬টি চার আর ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১০০ রান করে ফেরেন অধিনায়ক মিচেল মার্শ।
৩৭ বলে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন অ্যালেক্স ক্যারি। এই চার তারকার টর্নেডো ইনিংসে রেকর্ড দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩১ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া।
রানের পাহাড় ডিঙ্গাতে নেমে প্রথম দুই ম্যাচে টানা জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করা দক্ষিণ আফ্রিকা; এদিন চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায়।
২৪.৫ ওভারে মাত্র ১৫৫ রানে অলআউট হয়ে ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ২৭৬ রানের ব্যবধানে হারের রেকর্ড গড়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার ৬ ব্যাটসম্যান এদিন দুই অঙ্কই ছুঁতে পারেননি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.