লক্ষ্য ছিল ২৯৫ রানের। তবে পাকিস্তান তার ধারেকাছেও যেতে পারল না। ৯২ রান তুলতেই দম শেষ দলটার, পাকিস্তান অলআউট হলো দুই অঙ্কেই। আর তাতেই প্রায় সাড়ে তিন দশকের দর্প চূর্ণ হয়ে গেল তাদের। ২০২ রানে হেরে ৩৪ বছর পর তারা সিরিজ হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সবশেষ পাকিস্তানকে সিরিজ হারিয়েছিল সেই ১৯৯১ সালে। এর পর থেকে ১১টা সিরিজে খেলে কখনোই পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। সে খরাটা কাটল গত রাতে।
উইন্ডিজের হয়ে হোপ ৯৪ বলে অপরাজিত ১২০ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল পাঁচটি ছক্কা ও ১০টি চার। জাস্টিন গ্রিভসের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ৫০ বলে অপরাজিত ১১০ রানের জুটি গড়েন তিনি। গ্রিভস ২৪ বলে ৪৩ রান করেন। ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯৪ রান তুলে ইনিংস শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
জবাবে পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে ধসে পড়ে রীতিমতো। ২৯.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯২ রানে থামে তাদের ইনিংস। সিলস ৭.২ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন। পাকিস্তানের রান তাড়া শুরুতেই হোঁচট খায়। ৯ ওভারের মধ্যে ২৩ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা, যার মধ্যে তিন ব্যাটার শূন্য রানে আউট হন। ইনিংসের তৃতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন সাইম আয়ুব। রান না করেই আউট হন আব্দুল্লাহ শফিক। অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানও প্রথম বলেই বোল্ড হন সিলসের বলে।
বাবর আজম ৯ রানে এলবিডব্লিউ হন সিলসের শিকার হয়ে। কিছুটা লড়াই করেন সালমান আগা, ৪৯ বলে ৩০ রান করেন তিনি। কিন্তু হাসান নওয়াজ (১৩) গুদাকেশ মোতির বলে স্টাম্পড হন এবং হোসেন তালাত (১) বোল্ড হন রস্টন চেজের বলে। শেষ ব্যাটার আবরার আহমেদ রান আউট হয়ে শূন্য রানে ফেরেন।
উইন্ডিজের এই জয় এল এক অস্থির সময়ের পর। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে মাত্র ২৭ রানে অলআউট হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ বেশ টলেই গিয়েছিল। তবে এরপরই তারা শরণাপন্ন হয় দুইকিংবদন্তি ব্রায়ান লারা ও ক্লাইভ লয়েডের কাছে। তাদেরকে নিয়ে দুই দিনের বিশেষ বৈঠক হয় দলকে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনায়। তার ফলটাই বুঝি পেল ক্যারিবীয়রা।
প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটে জিতে সিরিজ সমতা আনে তারা। এরপর শেষ ম্যাচে দাপট দেখিয়ে নিশ্চিত করে এই স্মরণীয় জয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.