স্টাফ রিপোর্টার: দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন করে আরও দুই লাখ ইভিএম কেনার প্রস্তাবে সরকার সায় দেয়নি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ইভিএম আমার ব্যক্তিগত বিষয় নয়, ফলে প্রকল্প স্থগিতে হতাশার কিছু নেই। গতকাল বুধবার নির্বাচন ভবনে কমিশনেরসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘প্রকল্প স্থগিতের পরপরই কমিশনের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়, হতাশার কিছু নেই। একটা সিদ্ধান্ত এসেছে-সার্বিক অর্থনীতির কারণে সরকার ইভিএম দিতে পারছে না। এখানে আমাদের রিঅ্যাকশনের কিছু নেই।’ তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রাপ্যতা সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট হবে। এখানে (পরিকল্পনা মতো না হওয়ায়) হতাশ হওয়ার প্রশ্নই আসে না।’ আগামী নির্বাচন আয়োজনের যে পরিকল্পনা ইসি সাজিয়েছে, তাতে অর্ধেক সংসদীয় আসনে (১৫০টি) ইভিএমে ভোট গ্রহণের ভাবনা ছিলো। সেই লক্ষ্যে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২ লাখ ইভিএম ক্রয় ও ব্যবস্থাপনার জন্য গত বছরের অক্টোবরে প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলো নির্বাচন কমিশন। কিন্তু পরিকল্পনা কমিশন থেকে চিঠি দিয়ে ইসিকে জানানো হয়, ইভিএম প্রকল্পটি এবার হচ্ছে না। তাতে সর্বোচ্চ দেড়শ’ আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোট করার পরিকল্পনাও কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিইনি এখনও। আমাদের কাছে যে ইভিএম আছে, তা যদি কার্যকর থাকে, আমরা কিউসি করছি, যতটা সম্ভব নির্বাচন করবো। এ বিষয়টা এখনও নিশ্চিত নই। কত আসনে ইভিএমে হবে, সে সিদ্ধান্ত পরে হবে।’