ঈদুল ফিতর উদযাপনে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের ১৪ নির্দেশনা -স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ এবারও মসজিদে

স্টাফ রিপোর্টার: মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে এবার ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় ও ঈদ উদযাপনে ১৪ দফার নির্দেশনা দিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। করোনা সংক্রমণ রোধে গত বছরের ন্যায় এবারও এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইসলামী শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় ঈদের নামাজ আদায়ে উৎসাহিত করা হলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মুসল্লিদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনায় এ বছরও ঈদের নামাজ নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে গত শনিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিসভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসলামী শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের জামায়াত আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বসহ আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিজনিত কারণে মুসল্লীদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামায়াত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামায়াত অনুষ্ঠিত করা যাবে। প্রত্যেক মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ১ম জামাত অনুষ্ঠিত হবে। দুটি জামায়াতের মধ্যে ৪৫ মিনিট ব্যবধান রাখতে হবে। মুসল্লীগণের সংখ্যা অনুযায়ী মসজিদ কমিটি জামাতের সংখ্যা নির্ধারণ করবে। জীবানুনাশক ভেজা চটের ওপর দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করতে হবে। ঈদের নামাজের জামায়াতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের পূর্বে সম্পুর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লীগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে পারবেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে ওযুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে। প্রত্যেকে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
ঈদের নামাজের জামায়াতে আগত মুসল্লীকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাড়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করতে হবে। শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোন অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। করোনা ভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আল-আমিন এর দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামগণকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
ঈদের আগের রাতে ও ঈদের ছুটিতে আনন্দ প্রকাশের নামে নাচ-গান, মাইকিং, উচ্ছৃঙ্খলতা, পটকা/আতশবাজি, রাস্তায় জিগজ্যাগভাবে মোটরসাইকেল চালানো, গেট নির্মাণ করে টাকা বা চাঁদা আদায় করা যাবে না। সম্মানিত খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More