এবার মারামারি অতীতের মতো ততটা ঘটেনি : ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের প্রচার কার্যক্রম শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে অপেক্ষা করছে। এ দেশে অতীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মারামারি-হানাহানি ও রক্তপাতের যে ঘটনা ঘটতো, কেন্দ্র দখল, ভোট জালিয়াতিতে যে দৃষ্টান্ত দেখা যেত; আমরা খুবই আশাবাদের সঙ্গে বলতে চাই, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের আমলে এ ধরনের ঘটনা বাস্তবে ততটা ঘটেনি, যতটা অতীতে ঘটেছিলো।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ভোটাররা যেন শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তার জন্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা সরকারের দায়িত্ব। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকায় কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না এবং করছে না। বরং অতীতের ধারাবাহিকতায় সহযোগিতা দিয়ে আসছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখছেন সম্প্রতি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহৃত হচ্ছে। পৌরসভার প্রথম ধাপে ইভিএমে নির্বাচন হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপেও বেশ কিছু পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হচ্ছে। ইভিএম নিয়ে এত তর্ক-বিতর্কের পরও প্রযুক্তির সফলতা এখানেই। এ প্রদ্ধতিতে সম্প্রতি যেসব স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে ভোটার উপস্থিতি আশানুরূপ। শতকরা ৬০ ভাগেরও বেশি, যা অত্যন্ত ইতিবাচক। এ সময় চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে নরসিংদী পৌরসভার ঘোষিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনগত অভিযোগ থাকায় ইতোমধ্যে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে এবং সেখানে নতুন প্রার্থী দেয়া হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা ইতোমধ্যে কেন্দ্রসহ অন্যান্য পর্যায়ে বিভিন্ন কমিটি, উপকমিটি গঠন করেছি, অনুমোদনও দিয়েছি। এসব ঘোষিত কমিটির বিষয়ে কেউ কেউ সংক্ষুব্ধ হলে কিংবা কারও অভিযোগ থাকলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আলাপের সুযোগ থাকবে। তাই যে কোনো কমিটির বিষয়ে যে কোনো অভিযোগ ধানম-ি ৩/এ-এর দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়া যাবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলকে আরও পরিচ্ছন্ন, আধুনিক গণতান্ত্রিক এবং স্মার্টার দলে রূপান্তর করতে চাই মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে আওয়ামী লীগেই অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ সবচেয়ে বেশি। অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার ভিতকে আরও মজবুত করতে আওয়ামী লীগ সচেষ্ট।

‘সরকারকে জনগণ ক্ষমা করবে না’ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এ বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করছে বলেই বারবার শেখ হাসিনাকে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিচ্ছে। বিএনপির সব কর্মসূচি রাষ্ট্র ও জনগণের বিপক্ষে। তিনি বলেন, হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে যারা ভোট ডাকাতি শুরু করেছিল, রাতের বেলায় কারফিউ গণতন্ত্রের মাধ্যমে গণতন্ত্র শিখিয়েছিল, তাদেরকে জনগণ এখনো ক্ষমা করেনি। আর ক্ষমা করেনি বলেই বিএনপি ক্রমশ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি জনগণ দ্বারা আন্দোলন ও নির্বাচনে বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছে। জীবন্ত মানুষ আর সম্পদ পুড়িয়েছে। জনগণ তাদের ক্ষমা করেনি বলেই এখনো অতীতের অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More