এ বছরই বর্তমান সরকারের শেষ বছর

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে দুদু

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘এ বছর হলো পরিবর্তনের বছর। এ বছর বর্তমান সরকারের শেষ বছর। এ বছর নতুন একটি পতাকা উড়বে। যে পতাকা সাম্যের পতাকা। আপনার পিতাও রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তারেক রহমানের পিতাও রাষ্ট্রপতি ছিলেন। আপনার মাতা গৃহিণী ছিলেন। তারেক সাহেবের মাতা কিন্তু এ দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। আপনি আপনার পিতার কথা সার্বক্ষণিক বলেন। তারেক রহমান তো যোগ্য মায়ের যোগ্য সন্তান। আমরা চাই তাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেবো। ‘ গতকাল শনিবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘গ্যাস নেই, খাবার নেই এটা কী সহ্য করা যায়? আমার মনে হয় ডিসেম্বর নাগাদ এই সরকার হয়তো আর থাকতে পারবে না। যে সরকার খাবার দিতে পারে না, জীবন রক্ষা করতে পারে না, ইজ্জত রক্ষা করতে পারে না। যে সরকার মুসল্লিদের সাথে তামাশা করে। এটা বাংলাদেশ, আমরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অধিকার অর্জন করেছি। মানুষ জীবন দিয়েছে তারপর এ দেশ অর্জন করেছি। ‘ তিনি আরও বলেন, ‘এ সরকারের লজ্জা-শরম নেই। যার এক কান কাটা সে আড়ালে চলে আর যার দুই কান কাটা সে সড়কের মাঝ দিয়ে চলে। এ সরকারের দুই কান কাটা। বিদ্যুৎকেন্দ্র হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছে, সবগুলোর মালিক আওয়ামী লীগরা। কাগজে বেরিয়েছে বিদ্যুৎ না দিলেও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে। বিদ্যুৎ দেবেন না, ক্যাপাসিটি চার্জ কেনো দেবো? বিদ্যুৎ ও প্রিপেইড করেছেন। আগে টাকা নিয়ে বিদ্যুৎ দেবেন না কেনো? মাইরের ওপর ঔষধ নেই। পাকিস্তানিরা মার খেয়ে পালিয়েছে। আইয়ুব খানকে তাড়িয়েছি। এটা কোন খাঁ যে তাড়াতে পারবো না।’ মানুষ প্রতিবাদ চায়, ঘেরাও চায় উল্লেখ করে দুদু বলেন, ‘আপনি তারেক সাহেবকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে রেখেছেন। বেগম জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জেলে রেখেছেন। একেবারে বিদ্বেষপূর্ণ একটা পরিবেশ। তারেক রহমানকে নিম্ন আদালত সাজা মওকুফ করেছিলো। সে ভদ্রলোক দেশেই থাকতে পারলেন না। এই বাংলাদেশের জন্য শহীদ জিয়া থেকে শুরু করে লক্ষ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করেছে। অনেক পরিবার তাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আজ আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ স্বাধীন নয়। তারা রাস্তা থেকে মেয়েদের তুলে নিয়ে যায়। ফরিদপুরে এক ভাই ছাত্রলীগের সভাপতি, এক ভাই যুবলীগের সভাপতি। তাদের দুই হাজার কোটি টাকার বিচার হয় না। অথচ বেগম জিয়ার মিথ্যা মামলায় সাজা হয়।’ তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়া কখনো কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি। তাকে জেলে রেখেছেন। জেনারেল আজিজের ভাই ফাঁসির আসামি, তার সাজা মওকুফ করেছেন। কেউ জানে না। সে দেশের বাইরে যাওয়ার পর সবাই জেনেছে। এটা একটা দেশ। আপনি তাকে ক্ষমতার জোরে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আর বেগম জিয়ার মতো মানুষ আজ বিনা বিচারে জেলখানায়। একজন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী আজ ফাঁসির আসামি। ইলিয়াস সাবেক এমপি, এমন একজন লোককে ধরে নিয়ে গেলেন, আজ পর্যন্ত সে ফিরে আসেনি। ‘

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More