করোনাকালে অবৈধ মজুতদারদের খুঁজে বের করতে হবে

চুয়াডাঙ্গায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির মতবিনিময়সভায় খাদ্যসচিব

স্টাফ রিপোর্টার: করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ প্রতিরোধে চুয়াডাঙ্গা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাদ্য সচিব ড. নাজমানারা খানুম বলেছেন ‘করোনাকালে ধান ও চাল অবৈধ মজুতদারদের খুঁজে বের করতে হবে। অনেক ব্যবসায়ী যতটুকু ধান মজুত করতে পারে, তার চেয়ে বেশি ধান ও চাল মজুত করেছে। আপনাদের অনুরোধ করবো তাদেরেকে খুঁজে বের করুন। করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার জন্য জনসাধারণকে মোটিভেশন করতে হবে।’ গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা থেকে ভার্চুয়াল সভায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাথে সংযুক্ত হয়ে খাদ্য সচিব ড. নাজমানারা খানুম প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন।

জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মতবিনিময়সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে সিভিল সার্জন ডা.এএসএম মারুফ হাসান, ৬-বিজিবির উপ-পরিচালক মেজর নিস্তার আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময়সভায় অন্যান্যের মধ্যে সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. শামীম কবির, সমাজসেবার উপ-পরিচালক সন্তোষ কুমার নাথ, তথ্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন বক্তব্য রাখেন। সভায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন আলী, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিম লিংকনসহ করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যবৃন্দ ও সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথি খাদ্য সচিব ড. নাজমানারা খানুম আরো বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি আগামী শীতে করোনা বাড়তে পারে। বিশ্ব শিশু দিবস ও বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা সচেষ্ট। ইদানিংকালে নারীদের প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। আজ (গতকাল) করোনায় ১৪৪২ জন অসুস্থ হয়েছেন এবং ২৭ জন মারা গেছেন। আমরা একজনেরও মৃত্যু চাই না। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অন্যান্য দেশে শীতে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখতে হবে। এখন স্বস্তিতে আছি। মাস্ক পরা কার্যকর করতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। কোয়ারেন্টিন করতে হবে। আইসোলেশনে থাকতে হবে। স্কাউটদের করোনায় কাজে লাগানো যাচ্ছে না। মসজিদে মাস্ক পড়তে মুসল্লীদের মধ্য থেকে ভলেন্টিয়ার করে দেন। বাসস্ট্যান্ড ও হাটবাজারে ভয়াবহ অবস্থা। প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই বলেছেন, জীবন জীবিকা আগে। জনপ্রতিনিধি, মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানদের ব্যানারের দায়িত্ব নিতে হবে। শুধু প্রশাসনের ওপর ভরসা করলে হবে না। সমাজের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ । ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’। এখন থেকে ক্যাম্পেইন চালিয়ে যেতে হবে। ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। সদর হাসপাতালের লোকবল ও আইসিইউ বরাদ্দের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করা হবে।

জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, প্রতিটি মসজিদে মাস্ক ব্যবহারের জন্য ব্যানার টানাতে হবে এবং বিনামূল্যে মাস্ক সরবরাহ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হলো।

৬-বিজিবির উপ-পরিচালক মেজর নিস্তার আহমেদ বলেন, শীতের সময় মানুষ শ্বাসকষ্টে ভুগে থাকে। এজন্য প্রতিটি বাড়ীতে তুলসীগাছ লাগানো যেতে পারে, অফিসে গরম পানির ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে এবং শীত থেকে বাঁচতে বিনামূল্যে মাফলার সরবরাহ করা যেতে পারে।

সিভিল সার্জন ডা.এএসএম মারুফ হাসান বলেন, শীতের কারণে করোনা ভাইরাস বাড়ার আশঙ্কা আছে। ঠা-ার কারণে ভাইরাসটি বেশিদিন টিকে থাকে। সে কারণে বাড়ে। সেজন্য চলমান কাজগুলো ধরে রাখতে হবে।

সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. শামীম কবির বলেন, করোনা ভাইরাসে পিপি বরাদ্দ পেয়েছি। স্যানিটাইজার কিনেছি। সদর হাসপাতালে ১০০ শয্যার বরাদ্দ পাচ্ছি। ১৫০ শয্যার বরাদ্দ পাচ্ছি না। লোকবল ১০ জন চিকিৎসক ছাড়া কিছুই পাইনি। সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট তৈরীর জন্য ঠিকাদারের লোকজন এসেছে। সিলিন্ডার রিফিল করতে যশোর যেতে হয়। যেটা খুব সমস্যার কারণ। শ্বাসকষ্ট রোগীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More