করোনা শনাক্ত একদিনে চার হাজার ছাড়ালো

স্টাফ রিপোর্টার: করোনাভাইরাসে গত একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৮ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৮ হাজার ১২৯ জন। করোনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩০ হাজার ৩৬৬ জনের। আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ৮৭১ জনের। এ পর্যন্ত ১ কোটি ১৮ লাখ ৮ হাজার ৯২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ৯ হাজার ৪২জন। মোট শনাক্তের হার ১৩.৬৩ শতাংশ। বর্তমানে ৮৫৩টি পরীক্ষাগার চলমান আছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন ৩৫১ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৩০৬ জন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত একদিনে মারা গেছেন ২ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। তাদের বয়স বিশোর্ধ্ব ১, ত্রিশোর্ধ্ব ১, চল্লিশোর্ধ্ব ১, ষাটোর্ধ্ব ১, সত্তরোর্ধ্ব ১ ও আশির্ধ্বো ১ জন। মারা যাওয়াদের মধ্যে তিনজন ঢাকা, দুইজন চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর ১ জন বাসিন্দা। খুলনা, ময়মনসিংহ, রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে কেউ মারা যায়নি। মৃত ৫ জন সরকারি হাসপাতালে ও একজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো দেশে পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সেই দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে ধরা হয়। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২১ সেপ্টেম্বর। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। সরকারের লক্ষ্য ছিল এই হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার।
২০২০ বছরের মার্চে ছড়ানো করোনা বছরের শেষে নিয়ন্ত্রণে আসার পর চলতি বছর এপ্রিলের আগে থেকে আবার বাড়তে থাকে। এর মধ্যে প্রাণঘাতী ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পর এপ্রিলের শুরুতে লকডাউন এবং ১ জুলাই থেকে শাটডাউন দেয় সরকার।
সংক্রমণ কমে আসার পর আগস্টের মাঝামাঝি থেকে ধীরে ধীরে সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More