কলেজে ভর্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন এসএসসি উত্তীর্ণরা : বাড়ির কাছের কলেজে ভর্তির পরামর্শ অধ্যক্ষদের

স্টাফ রিপোর্টার: এসএসসির ফল প্রকাশ নিয়ে নানা শঙ্কা কাটিয়ে ওঠার পর এবার কলেজে ভর্তি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে সদ্য এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ধারণা, ভালো কলেজে ভর্তি হলে ভালো করা যাবে। যা উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বা মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে সহায়ক। অথচ সারাদেশে ভালো মানের কলেজে এক লাখের মতো আসন থাকলেও এবার ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার মানে জিপিএ-৫ পেয়েও অনেকে প্রথম সারির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাবে না। তাই সেরা কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

তবে কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে ভালো মানের কলেজের চেয়ে বাড়ির কাছের কলেজেই ভর্তির পরামর্শ দিয়েছেন কয়েকজন কলেজ অধ্যক্ষ। খিলগাঁওয়ের ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাকসুদ উদ্দিন বলেন, ভালো কলেজ বাড়ি থেকে অনেক দূরে হলে সেখানে ভর্তি হওয়া ঠিক নয়। ওই কলেজে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে যদি প্রতিদিন ৫/৬ ঘণ্টা লেগে যায়, এই সময়টা শিক্ষার্থীর জীবন থেকে হারিয়ে যায়। পাশাপাশি ক্লান্তি আসবে। অর্থদ- হবে। লেখাপড়ায় ক্ষতি হবে। তাই কলেজ বাসা থেকে যত কাছে হয় তত ভালো।

ভালো কলেজে ভর্তির জন্য অনেকে মফস্বল থেকে রাজধানী বা বিভাগীয় শহরের কলেজগুলোতে ভর্তি হতে চায়। মেসে ভাড়া নিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এই অধ্যক্ষের পরামর্শ হলো এইচএসসির পড়া অন্তত নিজের বাড়ির পাশের কলেজে থেকে শেষ করো।

একই ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন বাড্ডার ন্যাশনাল কলেজের অধ্যক্ষ শহীদুল আলম। তিনি বলেন, এই দুই বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন কলেজে ভর্তি হলো এটা কোনো বিষয় না। মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। ভালো ফল করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে।

ঢাকা শিক্ষাবোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজর আলীও মনে করেন বাসার কাছের কোনো কলেজে ভর্তি হতে হবে। এতে শিক্ষার্থীর অর্থ ব্যয় কম হবে। লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়া যাবে।

এদিকে আগামী ৬ জুন থেকে একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিলেও সে অবস্থান থেকে সরে এসেছে মন্ত্রণালয়। করোনার দুর্যোগের বিষয়টি বিবেচনায় এনে তারা এই প্রক্রিয়া আরো বিলম্বে শুরু করতে চায়। তবে এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে বলে জানা গেছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More