‘কারও কাছে কোনোদিন মাথানতো করিনি’ -কারামুক্তি দিবসে শুভেচ্ছা গ্রহণকালে প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগকে সব সময় উজানে নাও ঠেলে চলতে হয়েছে উল্লেখ করে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলন ও চাপে বাধ্য হয় আমাকে মুক্তি দিতে। সে সময়ের সরকার অবাক হয় যে, ১৫দিনে আমার মুক্তির জন্য ২৫ লাখ সই সংগ্রহ করা হয়। এটাই আওয়ামী লীগ, জনগণই হলো আমাদের শক্তি। শনিবার দুপুরে গণভবনে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর সময় এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যতোবার গ্রেপ্তার হয়েছি, ততবারই নেতাকর্মীদের উদ্দেশে চিঠি দিয়েছি, দেশবাসীকে চিঠি দিয়েছি। চিঠির মাধ্যমে তাদের নির্দেশনা দিয়েছি। আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা সব সময় ঠিক থাকে উল্লেখ করে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা বাবার সময়ও দেখেছি। আমি জেলে বসে দেশ কীভাবে চালাব, দল কীভাবে চালাব সেসব লিখে রেখেছিলাম। কীভাবে উন্নয়ন করব, সেসব পরিকল্পনা লিখে রাখি।’ তিনি বলেন, ‘দেশে ফেরার পর ‘৮৩ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিজিএফআইয়ের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর নানা সময়ই গ্রেপ্তার হতে হয়েছে। তবে কারও কাছে কোনোদিন মাথা নত করিনি, জীবন ভিক্ষা চাইনি। আমি পরিবার ও বাবার কাছ থেকে এটা শিখেছি যে, কারও কাছে বা কোনো অন্যায়ের কাছে মাথানতো করবো না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন সরকারে। জনমানুষের কল্যাণ আমরা বুঝি, সেটাই করে যাচ্ছি। আজ প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। মানুষ শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে সঠিকভাবে। আমরা একটি বাজেট দিয়েছি। উন্নত দেশে জিডিপি মাইনাসে। অথচ আমরা সেটি পাঁচ ভাগের ওপরে রেখেছি। আন্তর্জাতিকভাবে এত বাধা, তবুও নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করেছি। তারপরও কিছু মানুষ এটিকে অর্জন হিসেবে নিতে পারে না। কেন তাদের এই দৈন্য? বিনা পয়সায় টিকা দিয়েছি, বিনা পয়সায় যাদের ভ্যাকসিন দিয়ে তরতাজা করেছি, তারাই এখন সমালোচনা করছে।’ স্বাধীনতা বৃথা যেতে পারে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আমাদের কাজ করে যাব। সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করে যাব। যে যাই বলুক, আমরা আমাদের কাজ করে যাব। প্রজন্মের পর প্রজন্ম পর্যন্ত যেন সুফল পায় সে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ১০০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা করেছি।’ এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ গণতন্ত্রের বিজয় দিবস। এদিন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত করেছে। শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাঙালি ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে।’ তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তোমরা মিথ্যাচার কর, আমরা কাজ করে জবাব দেই।’ এর আগে শনিবার দুপুর পৌনে ১২টায় শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। প্রথমে আওয়ামী লীগ নেতারা, পরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), তাঁতী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ এবং গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) কর্মকর্তারা তাকে শুভেচ্ছা জানান।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More