কেরুজ চিনির গুণগত মান আশানুরূপ হলেও আহরণ কম

 

স্টাফ রিপোর্টার: চিনিকলের মাড়াই কার্যক্রম শুরু হলেই কোনো না কোনো কারণে যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়তে হয় প্রতিষ্ঠনটিকে। ফলে মাড়াই মরসুম দফায় দফায় ব্যহত হয়। আর যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়া মানেই বাড়তি ব্যায়। এবারই প্রথম ২ যুগের মধ্যে চিনি মাড়াই কার্যক্রম শুরু দিন থেকে কোনোপ্রকার যান্ত্রিক ত্রুটি ছাড়াই কার্যক্রম অব্যাহত আছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং এবং দক্ষ পরিচালনা পর্ষদের কারণেই সবকিছুই চলছে স্বাভাবিক নিয়মে। চিনি উৎপাদনে বাড়তি খরচ গুণতে হবে না প্রতিষ্ঠানকে। তবে অতিবৃষ্টির কারণে আখে চিনির উপস্থিতি কম থাকায় চিনি আহরণের হার আশানুরূপ হচ্ছে না। লক্ষ্যমাত্রার চাইতে চলতি মরসুমে চিনি উৎপাদন অনেক কম হবে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করছে।

জানাগেছে, অলাভজনক রাষ্ট্রয়াত্ব চিনিশিল্প নিয়ে শুরু হয়েছে নানা পরিকল্পনা। এরই মধ্যে দেশের ৬টি চিনিশিল্প কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে দেরিতে হলেও গত ১৮ ডিসেম্বর দর্শনা কেরুজ চিনিকল কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২০-২১ মাড়াই মরসুম শুরু করে। ১০৪ কার্য দিবসে ১ লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৯ হাজার ৬২৫ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কেরুজ চিনিকল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে চিনিকলের নিজস্ব ১ হাজার ৫৫০ একর জমিতে ২৪ হাজার মেট্রিক টন ও কৃষকদের ৬ হাজার ৯৮২ একর জমিতে ৯৪ হাজার মেট্রিক টন আখ রয়েছে। আর কুষ্টিয়া জগতি চিনিকলের ৩৬ হাজার মেট্রিক টন আখ। যেখানে চিনি আহরণের গড় হার ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। বুধবার ২৮ তম মাড়াই কার্য দিবস পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ ৩৩ হাজার ৬০ মেট্রিকটন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন করেছে ১ হাজার ৫৬৭ মে.টন। রিকভারির হার ৫ দশমিক ২ শূণ্য। তবে চলতি বছর চিনির গুণগত মান বিগত দিনের তুলনায় অনেক ভালো। কর্তৃপক্ষের সারাক্ষণ তদারকি ও চিনি উৎপাদন বিভাগে কিছু দক্ষ লোকের কারণে বিগত ৫০ বছরের মধ্যে এবারই কোনোপ্রকার যান্ত্রিক ত্রুটি ছাড়াই চলছে আখ মাড়াই কার্যক্রম। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অতিরিক্ত যে লোকশান হয় তা এবছর নেই বললেই চলে। উৎপাদন ম্যানেজার জিল্লুর রহমান বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে আখে চিনির পরিমাণ কম। তাই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আহরণ হচ্ছে না। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু বলেন, চিনিশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমার বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে চিনিশিল্পকে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করানো। এর জন্য সকলকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভালো কিছু করা সম্ভব। ব্যবস্থপনা পরিচালক আবু সাঈদ বলেন, প্রতিষ্ঠানের সাথে এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নের চাবিকাটি। অনেকেরই রুটিরুজি হয় এখান থেকে। তাই প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখতে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। ব্যক্তি স্বার্থ পরিহার করে সার্বিক স্বার্থে সকলকে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More