ছাত্রীর সাথে অপকর্ম : এবারও কী খুঁটির জোরে পার পেয়ে যাবেন আল মামুন

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার কুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আলোচিত সহকারী শিক্ষক এবার এক ছাত্রীর সাথে অপকর্ম করে আলোচনার খোরাকে পরিণত হয়েছেন। ছাত্রীটি তার নিকট প্রাইভেট পড়তো। ছাত্রী ঘটনা ফাঁস করায় বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক বিষয়টি ধামাচাপা দিতে দৌঁড়ঝাপ দিয়ে চলেছে। সে এখন পর্যন্ত সে সফলও হয়েছে। সালিসের কথা বলে ছাত্রীটির পরিবারকে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। আলোচিত ওই স্কুল শিক্ষক ৩ বছর পূর্বে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থাকা অবস্থায় স্কুলের চেয়ার, টেবিল ও আলমিরা নিজের বাড়িতে নিয়ে উঠায়। দুর্নীতি জড়ান তিনি। কিন্তু খুঁটির জোরে সেবার তিনি রক্ষা পেয়েছিলেন। এবার ছাত্রীর সাথে অপকর্ম করেও কী তিনি রক্ষা পেয়ে যাবেন এমন প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামটিতে।
অভিযোগে জানা যায়, মোক্তারপুর গ্রামের ওই শিক্ষক দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে গ্রামেরই কুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। তার শ^শুর একজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা। এ কারণে তিনি ২০১৭ সাল থেকে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এসময় তিনি কাউকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে স্কুলটিতে যোগদান করতে দেননি। স্কুলের দায়িত্ব থাকাকালীন তিনি চেয়ার, টেবিল ও আলমিরাসহ স্কুলের আসবাবপত্র নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। করেন দুর্নীতি। বিষয়টি এলাকাবাসীর নিকট ধরা পড়লে দাবি ওঠে বিচারের। কিন্ত খুঁটির জোরে তিনি সে যাত্রাই রক্ষা পান। এবার তিনি তার প্রাইভেট ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের কথা ফাঁস করে সমালোচনায় পরিণত হয়েছেন।
জানা যায়, গ্রামের বাজারের এক কাপড় ব্যবসায়ীর মেয়েকে তিনি প্রাইভেট পড়ান। ৮ম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সাথে কয়েক দফা অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন তিনি। ওই ছাত্রী বিষয়টি তার মাকে বলে দেয়। তার পিতা-মাতা বিষয়টি জানতে গত মঙ্গলবার ওই শিক্ষকের নিকট গেলে তাদেরকে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন প্রভাবশালী ওই শিক্ষক। অনন্যপায় হয়ে তারা আইনের সাহায্য নিতে চাইলে সালিসের আশ^াস দিয়ে গ্রামের প্রভাবশালী একটি মহল তাদেরকে থামিয়ে দিয়েছে। চলছে কালক্ষেপন। এলাকাবাসীর জিজ্ঞাসা এবারও কী ওই শিক্ষক খুঁটির জোরে পার পেয়ে যাবেন না-কী বিচারের মুখোমুখি হবেন। এটাই এখন দেখার বিষয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More