ঝিনাইদহে নির্মাণের ১৪ বছর পর চালু হলো সরকারি শিশু হাসপাতাল

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে নির্মাণের ১৪ বছর পর চালু হলো দেশের একমাত্র সরকারি শিশু হাসপাতাল। ২৫ শয্যার প্রতিষ্ঠানটি দেশের একমাত্র এবং প্রথম সরকারি শিশু হাসপাতাল। ২০০৫ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ৫ কোটি ৬৪ লাখ দুই হাজার ৮৭ টাকা খরচ করে ৩ একর জমির ওপর হাসপাতালটি নির্মাণ করে। ২০০৬ সালের দিকে হাসপাতালটির উদ্বোধন করা হলেও কার্যক্রম শুরু হয়নি। পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে হাসপাতালের মূল ভবন, স্টাফ কোয়ার্টারসহ বিভিন্ন স্থাপনা। লুট হয়ে যায় মূল্যবান ইলেকট্রো মেডিকেল যন্ত্রপাতিসহ কয়েক কোটি টাকার মালামাল। ২০১৯ সালের দিকে দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা খরচ করে মেরামত ও সংস্কার কাজ শুরু করে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। সংস্কার কাজ শেষ হতে আরও ৬ মাস লাগতে পারে। এরই মধ্যে শনিবার বেলা ১টার দিকে প্রধান অতিথি ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম ফিতা কেটে হাসপাতালটির চিকিৎসা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ, সদর পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদরুদ্দোজা শুভ প্রমুখ।
সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আলী হাসান ফরিদ ওরফে জামিল জানান, সব ধরনের আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ থাকছে হাসপাতালটিতে। ইতোমধ্যে দুইজন বিশেষজ্ঞসহ ৫ জন ডাক্তারের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। একজন কনসালট্যান্ট ও দুইজন মেডিকেল অফিসারসহ ২১ জন স্টাফ নার্স যোগদান করেছেন। কেনা হয়েছে অর্ধকোটি টাকার ওষুধ। প্রয়োজন আরও অন্তত ১০ জন মেডিকেল অফিসার (ডাক্তার)।
আরেকটি সূত্র জানায়, মঞ্জুরি আদেশ থাকার পরও আইনি জটিলতার অজুহাতে এখনো রাজস্ব ও আউটসোর্সিং অফিস স্টাফদের ২৫টি পদে জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহির রায়হান বলেছেন, সংস্কার করা ডাক্তার ও স্টাফদের কোয়ার্টারগুলো অত্যাধুনিক। এগুলোতে বসবাস না করা হলে আগের মতোই জঙ্গলে ঢেকে যাবে এবং বাস অযোগ্য হয়ে পড়বে। তিনি আরও বলেন, পরিত্যক্তভাবে পড়ে থাকার কারণে প্রায় দুই কোটি টাকার যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে গেছে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More