ঝিনাইদহে ১৫ বছরেও চালু হয়নি স্যালাইন কারখানা : নষ্ট হচ্ছে ভবন

ঝিনাইদহ  প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে স্যালাইন তৈরির কারখানার নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০০৭ সালে। শহরের পুরোনো হাসপাতালের সীমানা পাঁচিলের মধ্যে দোতলা ভবন নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকা। তবে কারখানা চালু হয়নি। এদিকে প্রায় ১৫ বছর পড়ে থেকে ওই ভবন নষ্ট হতে চলেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, জনবল নিয়োগ না হওয়ায় স্যালাইন তৈরির কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যেন দ্রুত এই কারখানা চালু করতে পারেন।

ঝিনাইদহ শহরের ছবিঘর সিনেমা হলপাড়ার গিয়ে দেখা যায়, পুরোনো হাসপাতালের পাশে দোতলা ভবনটির অবস্থান। সম্প্রতি গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির গেট বন্ধ, সামনে ময়লার স্তুপ। স্থানীয় বাসিন্দা কবিরুল ইসলাম বলেন, নির্মাণের পর থেকে ভবনটি পড়ে আছে। মাঝে এক দফা ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করতে দেখেছিলেন। আবার কখনো কখনো এখানে টিকা কার্যক্রম চালানো হয়। তারা শুনেছেন, এখানে স্যালাইন তৈরি করা হবে। যা এলাকার মানুষের চাহিদা মেটাবে। কিন্তু স্যালাইন তৈরি হতে দেখেননি।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, খাবার স্যালাইন (ওআর) তৈরির জন্য জেলা সদরের পুরোনো হাসপাতাল এলাকায় ২০০৬ সালে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০০৭ সালে। এতে ব্যয় হয় ৯৮ লাখ ৩৭ হাজার ৬৮০ টাকা। নির্মাণকাজ শেষে ভবন হস্তান্তর হয়েছে। তবে স্যালাইন তৈরির প্রশাসনিক অনুমোদন মেলেনি। ফলে জনবল নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একজন কর্মচারী বলেন, বিএনপি সরকারের শেষ মেয়াদে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন ঝিনাইদহ-২ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য এম মসিউর রহমান। তিনি এই স্যালাইন তৈরির কারখানা স্থাপনে ভূমিকা রাখেন। এছাড়া তিনি ওই সময় মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ভবন, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি ভবন, নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করেন।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, তারা জনবল নিয়োগ ও কারখানা চালুর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। দ্রুতই কারখানাটি চালু করা সম্ভব হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More