স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন দেশের সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত তার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, ইচ্ছে থাকলেই যে দেশের উন্নয়ন করা যায় আমরা তা প্রমাণ করেছি। এখন আমরা আর পিছিয়ে নেই। এক দশকের ভেতরে বাংলাদেশের পরিবর্তন সারা বিশ্বে একটা মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশের কাউকে বাইরে গিয়ে কথা শুনতে হয় না। করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন করে অন্য দেশকে দেয়ার সক্ষমতাও বাংলাদেশের আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নিজেরা ভ্যাকসিন তৈরি করতে চাই। ভ্যাকসিন তৈরির যে বাধাগুলো আছে, সেগুলো আপনাদের (উন্নত দেশগুলোকে) সরিয়ে দিতে হবে, উন্মুক্ত করতে হবে। এটা জনগণের প্রাপ্য, তাদের সম্পদ হিসেবেই দিতে হবে, সারা বিশ্বের কোনো মানুষ যেন ভ্যাকসিন থেকে দূরে থাকতে না পারে। আমাদের সুযোগ দিলে আমরা উৎপাদন করবো। আমরা বিশ্বে দিতে পারবো, সে সক্ষমতা আমাদের আছে। টিকা উৎপাদনের ল্যাব তৈরির জন্য জমিও নিয়ে রেখেছি, এভাবে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আজকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমাদের যে সাফল্য, তা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে, আমি এটাও বলে এসেছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ শীর্ষক পুরস্কার প্রবর্তন করায় বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা- ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে একদিন বাংলাদেশেরও কোনো উদ্যোক্তা বঙ্গবন্ধুর নামে ইউনেস্কোর চালু করা ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ পুরস্কার পাবে। স্টার্টআপ প্রোগ্রামের যে সুযোগ সরকার দিয়েছে, সে সুযোগটা নিয়ে আমাদের যুব সমাজ তাদের মেধা ও মনন বিকাশের সুযোগ পাক এবং তারা এগিয়ে আসুক। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধিতে সাধারণ আলোচনার জন্য এই প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপন করেন। প্রস্তাবে বলা হয়, ‘জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনার মাধ্যমে ইউনেস্কোকে বাংলাদেশের সকল জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানানো হোক।’ সাধারণ আলোচনা শেষে স্পিকার প্রস্তাবটি সংসদে ভোটে দিলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে জাতিসংঘের কোনো অঙ্গ সংস্থার প্রবর্তন করা এটি প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক পুরস্কার। প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়ে দেশের জনগণের পক্ষ থেকে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ