ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে নির্বাচন না হলে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত : শামসুজ্জামান দুদু

স্টাফ রিপোর্টার: ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে ডিসেম্বরের মধ্যে যদি নির্বাচিত সরকার না আসে তাহলে দেশের মানুষের কপালে খারাপই আছে। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহর হোসেন চৌধুরী হলে জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দুদু বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়েছি। কিন্তু সেই গণতন্ত্র কিভাবে ঠেকানো যায় তার একটি উদ্যোগ আস্তে আস্তে উন্মোচিত হচ্ছে আমাদের সামনে। যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান রক্ষার আন্দোলনের সাথে ছিল তাদেরই একটা অংশ নতুন করে তৈরি হয়েছে, যারা নিজেদেরকে গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দানকারী দাবি করে। কিন্তু তারা গণতন্ত্রের পক্ষে এবং নির্বাচনের পক্ষে দাঁড়ায় না। শেখ হাসিনা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছিলেন। গত ১৫-১৬ বছর বিএনপি লড়াই সংগ্রাম করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করার জন্য। সেই জন্য গত ১৫-১৬ বছর হাজার অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন, খুন, গুম হওয়ার পরেও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে এসেছে। গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছি, ভবিষ্যতেও দেবো এ বিষয়ে কোনো আপোষ নেই। তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে যদি আমরা নির্বাচন করতে না পারি তাহলে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে যাবে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে ডিসেম্বরের মধ্যে যদি নির্বাচিত সরকার না আসে তাহলে দেশের মানুষের কপালে খারাপই আছে। সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, নির্বাচনের কথা বললেই দোষ হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনের কথা বললে ভারতের দালাল, আওয়ামী লীগের দালাল বানিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু যারা নির্বাচন ঠেকাতে চায় তারা কি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বাঁধা দিচ্ছে না? নির্বাচন না হলে নির্বাচিত সরকার না হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে কিভাবে? দেশে প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে দেশের জনগণকে ভালো রাখতে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে; এজন্য অতি জরুরি নির্বাচিত সরকার দরকার। জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিবুর রহমান হাবিবসহ নেতৃবৃন্দ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More