ঢাকার টানে দাম চড়া আর বেচাকেনায় অস্থিরতা : হতাশ খামারিরা

মাজেদুল হক মানিক: মেহেরপুর জেলায় চড়া দরেই বিক্রি হচ্ছে কোরবানির গরু। আনুমানিক এক মণ মাংসের দর ধরা হাচ্ছে ৩০ হাজার টাকা। বেশি দরের আশায় রাজধানীতে গরু নিয়ে ছুটছেন স্থানীয় ব্যাপারীরা। এতে স্থানীয় কোরবানির পশু হাটে কেনাবেচায় ভাটা পড়েছে। অপরদিকে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই পশু হাটগুলোতে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের হিসেবে কোরবানী উপযুক্ত গরু রয়েছে প্রায় ৬০ হাজার। যা জেলার চাহিদার চেয়ে দ্বিগুন। টানা ১৪ দিনের লকডাউনের কবলে বসেনি কোরবানির পশুহাট। শুক্রবার প্রথম শুরু হওয়া মেহেরপুর জেলাসহ আশেপাশের জেলার মধ্যে বড়হাট বামন্দী-নিশিপুর পশু হাটে নেই কাঙ্খিত পরিমাণ কোরবানির গরু। রাজধানী ঢাকাসহ অন্য জেলার ব্যাপারীদেরও সংখ্যাও কম। গেলো বছর করোনা আতঙ্কে ঢাকায় গরু নিয়ে যায়নি অনেকে। ফলে চড়া দামে গরু বিক্রি হওয়ায় এবার তার প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারগুলোতে। বেশিরভাগ খামারি ও ছোট ছোট ব্যাপারীরা গরু নিয়ে ঢাকায় চলে গেছেন এক সপ্তাহ আগেই। রাজধানীতে বেশি দরে গরু বিক্রির আশায় পাল্টে গেছে স্থানীয় পশু হাটগুলোর দৃশ্য।
স্থানীয় ব্যাপারীরা জানান, প্রতি মণ মাংসের আনুমানিক দাম ২৫-৩০ হাজার ধরে গরু কেনাবেচা হচ্ছে। লালন-পালন খরচ নানাভাবে বৃদ্ধি হওয়ায় গবাদিপশুর দরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
কয়েকজন খামারী জানান, লকডাউন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিকরা। নির্দিষ্ট সময়ে গরু বিক্রি করতে না পারায় হতাশ তারা। বাকিতে স্থানীয় ব্যাপারীদের কাছে গরু বিক্রি করেছেন অনেকে। এখন ঢাকার পশু হাটে দর ভালো না পাওয়া গেলে পথে বসতে হবে খামারি ও স্থানীয় ব্যাপারীদের।
বামন্দী-নিশিপুর পশু হাটের ইজারাদার নাছির উদ্দীন শেখ জানান, গরু কেনাবেচা কম হওয়ায় খামারি ও ব্যাপারীদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবো আমরা।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More