দুর্গাপূজায় ১৫ নির্দেশনা হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের

স্টাফ রিপোর্টার: কোভিড-১৯ মহামারী প্রেক্ষাপটে দুর্গাপূজা পালনে ১৫ নির্দেশনা দিয়েছে হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট। বলা হয়েছে, এ বছর উৎসব ছাড়া শুধু পূজা-অর্চনা করতে হবে। দর্শনার্থীরা পূজামণ্ডপে ঢুকবেন মাস্ক পরে ও হাত স্যানিটাইজ করে। অতিরিক্ত তোরণ ও আলোকসজ্জা থেকেও বিরত থাকতে হবে।

গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব নির্দেশনার কথা জানানো হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতিটি পূজাম-পে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিদ্যুৎ বিভ্রাট মোকাবেলায় বিকল্প আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা বা কোনো জনসমাবেশ করা যাবে না। আতশবাজি বা পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রতিমা বিসর্জনের দিন শোভাযাত্রা করা যাবে না। কোনো গুজবে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। অনাকাঙ্খিত যে কোনো দুর্ঘটনায় থানা অথবা ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে। কোভিড-১৯ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে। যে কোনো প্রয়োজনে হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় অথবা জেলা ট্রাস্টিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মনোরঞ্জন শীল গোপাল জানান, ২২ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত দুর্গাপূর্জা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সারা দেশে ৩০ হাজার ২১৩টি ম-পে পূজা হবে। কোভিড-১৯ এর কারণে গত বছরের চেয়ে ১ হাজার ১৮৫টি ম-প কম তৈরি হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি তপন সেন, ড. অসীম সরকার, মুক্তিযোদ্ধা রেখারানী গুণ, অ্যাডভোকেট অমিত কুমার সরকার, অংকুরজিত সাহা, ইঞ্জিনিয়ার রতন দত্ত, ববিতা সরকার ও উত্তম শর্মা।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More