দেশের ১৫ গ্রামে আসছে শহরের সুবিধা

স্টাফ রিপোর্টার: গ্রামের মানুষকে অবহেলিত রেখে উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়, গ্রামে শহরের সকল সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। গতকাল রোববার সচিবালয়ে ‘আমার গ্রাম আমার শহর: প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা’ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির প্রথম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, উন্নত জীবনের আশায় মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহরে আসছে। আমরা যদি গ্রামে শহরের সব সুবিধা নিশ্চিত করি তাহলে মানুষ আর শহরে আসবে না। গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন কল-কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ উদ্যোগ গ্রহণের বিশেষ অঙ্গীকার করা হয়েছে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে উন্নত যোগাযোগ, সুপেয় পানি, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুচিকিৎসা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুত ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি, কম্পিউটার ও দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক শহরে রূপান্তরি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, গ্রামে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেয়ার চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গুণগতমান এবং টেকসই নিশ্চিত করা। গ্রামে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা তৈরি করার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এজন্য সব মন্ত্রণালয়কে এক হয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এ পরিকল্পনা বিভিন্ন পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে।
আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় আলোচনা হয়, সরকারের বিশেষ উদ্যোগ ’আমার গ্রাম, আমার শহর’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গুলোকে স্ব-স্ব কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। ৮টি বিভাগের ৮টি গ্রাম এবং সাতটি বিশেষ অঞ্চলের সাতটি গ্রামসহ ১৫টি গ্রামকে আমার গ্রাম, আমার শহরের উদ্যোগের আওতায় আনতে প্রাথমিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায় পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী প্রমুখ।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More