দেশে করোনায় আরও ২১২ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: দেশে করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা কমছে না। টানা ৭ দিন মৃত্যু দুইশ’র বেশি। নমুনা পরীক্ষা কম হওয়ায় সংক্রমণ কমলেও শনাক্তের হার কয়েকদিন ধরে ৩০- এর উপরে-নিচেই রয়েছে। ১ সপ্তাহ পর ফের বেড়েছে মৃত্যু ও শনাক্তের হার। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে মৃত্যু বেড়েছে ১৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। ১ সপ্তাহে মারা যান ১৬৩৯ জন। আগের সপ্তাহে মারা যান ১৩৭৭। আগের সপ্তাহের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে ৫৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। বিপরীতে শনাক্ত বেড়েছে ৫৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে সুস্থতার হার বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে আরও ২১৮ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনা। আগের দিন মারা গেছেন ২১২ জন। এ নিয়ে টানা ১ সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন দুশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২৭ জুলাই সর্বাধিক ২৫৮ জনের মৃত্যু হয়। সবমিলিয়ে দেশে মোট ২০ হাজার ৬৮৫ জন মারা গেছেন। একদিনে আরও শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৩৬৯ জন। আগের দিন শনাক্ত হয়েছিলেন ১৩ হাজার ৮৬২ জন। এনিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৪ জন। দুদিন ধরে নমুনা পরীক্ষা আগের চেয়ে কম হচ্ছে। দুদিনে আগে দৈনিক অর্ধলাখ নমুনা পরীক্ষা হলেও ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে মাত্র ৩০ হাজার ৯৮০টি। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় নমুনা সংগ্রহ কম হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ২৪ শতাংশ। আগেরদিন এ হার ছিলো ৩০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। সরকারি হিসাবে একদিনে সেরে উঠেছেন ১৪ হাজার ১৭ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১০ লাখ ৭৮ হাজার ২১২ জন। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৪৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩২টি, জিন এক্সপার্ট ৫৩টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪৬৪টি। এসব ল্যাবে ৩০ হাজার ৯৭৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৭ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৪টি। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ২৯ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৩৪ ও নারী ৮৪ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৫৬, বেসরকারি হাসপাতালে ৪৯ ও বাড়িতে ১৩ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৬৭ জন। চট্টগ্রাম বিভাগ ৫৫, রাজশাহী বিভাগে ২২, খুলনা বিভাগে ২৭, বরিশাল বিভাগে ১০, সিলেট বিভাগে নয়জন, রংপুর বিভাগে ১৬ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১২ জন আছেন।
তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১০০ বছরের ঊর্ধ্বে দুজন। ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে চারজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৬৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ১০ বছরে নিচে রয়েছেন একজন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More