দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা মানুষ

এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে সবকিছুর
স্টাফ রিপোর্টার: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দেয়ার ২৪ ঘণ্টা পার না হওয়ার আগেই সব কিছুর দাম বেড়েছে। লাগামহীন হয়ে পড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। এতে নাভিশ্বাস উঠেছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে আবারও বেড়েছে সবজি, গরুর মাংস, ব্রয়লার মুরগি, সয়াবিন তেল ও পেঁয়াজের দাম। বিপরীতে কমেছে মাঝারি আকারের চাল, রসুন ও হলুদের দাম। এসব বাজারে শীতের মৌসুমি সবজির দাম বাড়তি দেখা গেছে। যদিও এই সময়ে এসব সবজির দাম হওয়ার কথা ছিলো মানুষের নাগালের ভেতরে। বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বড় ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকায়, ছোট ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, করোলা বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, শিম বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। গাজর কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে। টমেটো ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, পালংশাকের আঁটি বিক্রি হয়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা করে। লাল শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ, চিনি ও ডিমের। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, দেশি রসুন বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৬০ টাকা, আমদানি করা রসুন বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা, শুকনো মরিচ ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। দাম বেড়েছে মোটা চালের। প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিলো ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা, চিকন চাল বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৮ টাকা, দাম কমেছে মাঝারি মানের চালের। কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৬ টাকা। দাম বেড়ে খোলা আটা, বিক্রি হয়েছে ৩৪ থেকে ৩৬ টাকা, প্যাকেটজাত বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৫ টাকা। খোলা ময়দা বিক্রি হয়েছে ৪৬ থেকে ৫০ টাকা এবং প্যাকেটজাত বিক্রি হয়েছে ৫২ থেকে ৬০ টাকা কেজি। দাম বেড়েছে তেলের। বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকায়, গত সপ্তাহে ছিলো ১৪৬ থেকে ১৫৩ টাকা, বোতলজাত বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৬৮ টাকা, গত সপ্তাহে বিক্রি ছিলো ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকা, খোলা পাম অয়েল প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়, পাম অয়েল সুপার বিক্রি হয়েছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা লিটার। গত সপ্তাহে ছিল ১৩৮ থেকে ১৪২ টাকা লিটার। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। সোনালি মুরগির কেজি ২৫০-২৮০ টাকা। দেশি মুরগি ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকায়। কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৬২০ টাকায়, গত সপ্তাহে ছিলো ৫৮০ থেকে ৬২০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, বড় চিংড়ি ১১০০ থেকে ১২০০, রুই ৩৫০ থেকে ৪০০, কাতল ৩০০ থেকে ৩৫০, কোরাল ৬০০, নলা ২৬০, কালবাউশ ৪০০ টাকা এবং ট্যাংরা ৫০০ টাকা, বড় আকারের পাঙ্গাশ বিক্রি হয়েছে ১৯০-২০০ টাকায়। পাঙ্গাশ বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি, চাষের কই মাছ বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। এছাড়া বাজারে আকারভেদে ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকায়। আগের বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছে মশুর ডাল। ছোট দানার মশুর ডাল বিক্রি হয়েছ ১২০ টাকা, বড় দানার মশুর ডাল ৯৫-১০০ টাকা। মুগ ডাল বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৩৫ টাকা, অ্যাংকর ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, ছোলা ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More