নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত আরও ৫

স্টাফ রিপোর্টার: দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোটের পরও সহিংসতা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এবং গতকাল শুক্রবার অন্তত ১৫ জেলায় তিনজনের প্রাণ গেছে; আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৯৬ জন। হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে বহু বাড়িতে। এ ছাড়া যশোরের শার্শা উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় আহত এক ব্যক্তি গতকাল ভোরে নিজ বাড়িতে মারা গেছেন। রাজবাড়ীতে চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে এক সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এর আগে ২৮ জন (বৃহস্পতিবার ভোটের আগের রাতে তিনজন এবং ভোট চলাকালে তিনজনসহ) নিহত হন। আহতের সংখ্যা অন্তত ৫৮৭। আর প্রথম ধাপের দুই দফা নির্বাচনে ভোটের দিন ছয়জন, ভোটের পরে একজন নিহত এবং দুই শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে গতকাল পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৪০।
ঢাকার ধামরাইয়ে ইউপি নির্বাচন-পরবর্তী হামলা-সংঘর্ষে দুই ব্যক্তি নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হন। ভাঙচুর করা হয় বাড়িঘর। গতকাল সকালে ও বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কুল্লা, সুয়াপুর, সোমভাগ, সানোড়া ও চৌহাট ইউনিয়নে এসব ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন কুল্লার বরাকৈ গ্রামের হাজী আব্দুুর রশিদের ছেলে রিফাত রেজুয়ান রাতুল (৩০) এবং সুয়াপুরের কুরুঙ্গী গ্রামের নছুর উদ্দিন মোল্লা (৮৫)। রাতুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আহত রাতুলের ভাই অর্ণবকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। রাতুল ইন্টারনেটের ব্যবসা করতেন। আর নছুর উদ্দিন দুই পক্ষের মারামারি থামাতে গেলে ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়। গতকাল সকালে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
রাজবাড়ীর বাণীবহ ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মো. আব্দুল লতিফ (৫৭) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক চেয়ারম্যান ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। আব্দুল লতিফের স্ত্রী শেফালী বেগম জানিয়েছেন, ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী উঠান বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে বাণীবহ বাজার থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন লতিফ। বাড়ির কাছে পৌঁছতেই দুর্বৃত্তরা তাঁকে থামিয়ে বুকসহ শরীরে চারটি গুলি করে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঢাকায় নেওয়ার চেষ্টাকালে মানিকগঞ্জে তাঁর মৃত্যু হয়। শেফালী বেগমের দাবি, আগামী ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে পূর্বপরিকল্পিতভাবে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা তাঁর স্বামীকে হত্যা করেছে। লতিফের মেয়ে লতা বলেন, তাঁর বাবা আওয়ামী লীগের নিবেদিত নেতা ছিলেন। সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে থাকতেন। যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়নে গত ২৩ অক্টোবর নির্বাচনী সহিংসতায় আহত আলী ফকির (৫২) গতকাল ভোরে নিজ বাড়িতে মারা গেছেন। তিনি পাঁচ ভূলাট গ্রামের মৃত ইউছুপ আলীর ছেলে। শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম খান জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More