পৌর নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় প্রার্থীরা : জনসভা-শোভাযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

পথসভা-ঘরোয়া সভা করতে ২৪ ঘণ্টা আগেই জানাতে হবে পুলিশকে

স্টাফ রিপোর্টার: জমে উঠেছে প্রথম ধাপের চুয়াডাঙ্গাসহ ২৪ পৌরসভায় নির্বাচন। শীত উপেক্ষা করে প্রচারণায় ব্যস্ত মেয়র, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীরা। প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে শুক্রবার থেকেই আনুষ্ঠানিক প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা। গতকালও দিনভর প্রচার-প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন তারা। এদিকে পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে জনসভা-শোভাযাত্রা করতে পারবেন না প্রার্থীরা। এছাড়া পথসভা, ঘরোয়া সভা করতে ২৪ ঘণ্টা আগে স্থানীয় পুলিশকে জানাতে হবে। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ প্রশাসন। তবে জনগণের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হতে পারে এমন কোনো সড়কে পথসভা ও মঞ্চ তৈরি করতে পারবেন না প্রার্থীরা। পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারণার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের স্থায়ী-অস্থায়ী বিলবোর্ড ব্যবহার নিষিদ্ধ করছে নির্বাচন কমিশন। একইভাবে কোনো প্রার্থী, রাজনৈতিক দল বা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের প্রচারণায় গেট, তোরণ বা ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন না। প্রথম ধাপের ২৪ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে চূড়ান্ত প্রার্থী রয়েছেন ৯৩ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৭৭ জন এবং ৮৪৮ জন। তিন পদে মোট প্রার্থী রয়েছেন ১২১৮ জন। এদিকে নির্বাচন কমিশন প্রথম ধাপে ২৫ পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলেও গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভায় একজন মেয়র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ওই পৌরসভায় নির্বাচন বন্ধ রেখেছে কমিশন। অন্যদিকে প্রথম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীর ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে। মেয়র পদে কোনো কোনো পৌরসভায় পাঁচ থেকে আটজন প্রার্থীও রয়েছেন। আর সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে কোনো কোনো পৌরসভায় প্রার্থী সংখ্যা রয়েছেন ১০ থেকে ১৬ জন। আবার কাউন্সিলর পদে কোনো কোনো পৌরসভায় প্রার্থী সংখ্যা রয়েছেন ৫০ থেকে ৭১ জন।
শীতের আমেজে ভোটের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম-গঞ্জে। ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপের ভোট হবে ২৪ পৌরসভায়। এর পরে আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারি ৬১ পৌরসভায় ভোট। এছাড়া জানুয়ারির শেষ এবং ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে শতাধিক পৌরসভায় আরও দুই ধাপের ভোটের প্রস্তুতি চলছে। পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে জমে উঠেছে তৃণমূলের রাজনীতি। দলীয় কার্যালয়গুলো নেতাকর্মীর পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। ভোটের প্রচার-প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত প্রার্থী, নেতাকর্মীরা। অনেক পৌরসভায় গ্রাম্য পরিবেশে চলছে উঠোন বৈঠক, আলোচনা সভা, কর্মীসভা। চায়ের দোকান থেকে হাটবাজারে এখন শুধুই ভোটের আলোচনা। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে গ্রাম-গঞ্জ-হাট-বাজার। বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক, মহাসড়কের দুই পাশে লাগানো হয়েছে ব্যানার-বিলবোর্ডও।
দেশে পৌরসভা রয়েছে মোট ৩২৯টি। এবার মোট চার ধাপে ১৯৪ পৌরসভায় ভোট হবে। গত ২২ নভেম্বর প্রথম ধাপে ২৫টি পৌরসভায় ভোটের তফসিল দেয়া হয়। ২ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা হয় দ্বিতীয় ধাপে ৬১ পৌরসভা নির্বাচনের। আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই পৌরসভার ভোট করতে হয়। স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয় পৌরসভায়। সেবার ২০টি দল ভোটে অংশ নেয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ২৪ নভেম্বর পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ৩৬ দিন সময় দিয়ে ভোটের তারিখ দেয়া হয় ৩০ ডিসেম্বর। এক দিনে ভোট হয় ২৩৪টি পৌরসভায়। বাকিগুলোয় মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ বিবেচনায় ও বিভিন্ন জটিলতা সেরে ভোট হয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More