প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যা বললেন আজহারি

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্ম শিক্ষক নিয়োগের দাবি অগ্রাহ্য করে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারি। বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিন্দা প্রকাশ করেন তিনি।

নিজের ফেসবুক পোস্টে আজহারি লেখেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি— সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্ম শিক্ষক নিয়োগে এদেশের অভিভাবকদের দীর্ঘদিনের দাবিকে উপেক্ষা করে, অযাচিতভাবে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা প্রদান করেছে। আমরা এই অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

ধর্মীয় মূল্যবোধের নিরাপত্তা চেয়ে আজহারি আরও লেখেন, ‘মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশে প্রাথমিক স্তরে ইসলাম শিক্ষার জন্য বিশেষায়িত ধর্মীয় শিক্ষক নেই। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। অথচ সংগীতের মতো বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে ডেডিকেটেড শিক্ষক নিয়োগ স্পষ্টতই জন আকাঙ্ক্ষা পরিপন্থি। আমরা আমাদের সন্তানদের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের নিরাপত্তা চাই।’

ড. মিজানুর রহমান আজহারির পোস্টটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। এতে মন্তব্য করতে দেখা গেছে অসংখ্য অনুরাগীকে। কেউ লিখেছেন, ‘খুব ভালো একটা উপস্থাপন।’ কারো মন্তব্য, ‘সেই সঙ্গে যুগের পর যুগ ধরে এই বঙ্গীয় মুসলমানদেরকে তাদের শরিয়াহ থেকে বঞ্চিত রেখে গণতন্ত্র দ্বারা শাসন করা হচ্ছে।

যার দরুন এই ধরনের ইসলামবিরোধী প্রজ্ঞাপন জারি করা তাদের কাছে ডাল ভাত। কিন্তু আসল বিষয় তথা সিস্টেম (গণতন্ত্র) থেকে যে প্রথমে মুক্তি পেতে হবে, সেই দিকে ভ্রুক্ষেপ কয়জনের? এদেশের মুসলমানরা তো এখানেই হেরে গেছে!’ কেউ কেউ আজহারিকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ এই বিষয়ে কথা বলার জন্য।’

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে নতুন বিধিমালা জারি করেছে সরকার। এতে নতুন দুটি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। পদ দুটি হলো— সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা।

এখন থেকে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার জন্য নির্ধারিত শিক্ষক থাকবেন। এতদিন পদ দুটিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের দিয়ে কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছিল।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More