প্রাথমিক সমাপনী ও জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা অনিশ্চিত

স্টাফ রিপোর্টার: দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় চলতি বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি)-জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেএসসি পরীক্ষা আয়োজনের কোনো প্রস্তুতিই গ্রহণ করতে পারেননি তারা। এই অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোয় চলতি বছর এই পরীক্ষা আয়োজন করা কঠিন হবে। এছাড়া স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েও এখনো কোনো পরিকল্পনা করেনি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ জানান, জেএসসি পরীক্ষা হবে কিনা সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। আমরা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে ভাবছি। জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা নিয়ে শিগগিরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা জানাবে সূত্র মতে, প্রতিবছর নভেম্বর মাসে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গতবছরও করোনার কারণে এই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ৩১ আগস্টের পর যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়, তখন পরীক্ষা আয়োজনের জন্য মাত্র দুই মাস সময় পাবে শিক্ষা বোর্ডগুলো। এই সময়ের মধ্যে কেন্দ্র নির্বাচন, প্রশ্নপত্র তৈরি করা, সেগুলো ছাপানোসহ নানা কাজ করতে হবে। যেগুলো সম্পন্ন করা অনেকটাই অসম্ভব। এদিকে চলতি বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা আয়োজনের সম্ভাবনা নেই বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে, করোনা সংক্রমণের কারণে সব ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের চলমান ছুটি আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গতকাল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ছুটির সিদ্ধান্ত জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য সব সরকারি, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের চলমান ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এ সময় নিজেদের ও অন্যদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে। পাশাপাশি অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনা ও অনুশাসন শিক্ষার্থীদের মেনে চলতে হবে। শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকরা নিশ্চিত করবেন এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করবেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More