ফরিদপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পাটকলের নারী শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে প্রথম স্বামীর নির্যাতনে ময়না বেগমের (৩০) নামে এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত পরশু বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ঘাতক স্বামী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে প্রথম স্বামীর নির্যাতনে ময়না বেগমের (৩০) নামে এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ঘাতক স্বামী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। জানা গেছে, ১৩ বছর আগে উপজেলার দাদপুর গ্রামের ইউনুস শেখের মেয়ে ময়না বেগমের সঙ্গে পাশের সালথা থানার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বলভরদিয়া গ্রামের শরিফুল মল্লিকের (৩৫) বিয়ে হয়। তিন মাস সংসার করে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর বোয়ালমারীর জয়পাশা গ্রামের শামীম মোল্লার সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। এই ঘরে তার দুটি সন্তান রয়েছে। পরে ময়নার স্বামী শামীম মোল্যা হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। সর্বশেষ গত ২৫ মে ময়না বেগম চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার খরাদে মাঠপাড়া গ্রামের জামাল হোসেনকে ৩য় বার বিয়ে করে। ময়না বেগম দাদপুরের বাবার বাড়ি থেকে সাতৈর ইউনিয়নের ডোবরা এলাকায় জনতা জুটমিলে শ্রমিকের কাজ করতো। এদিকে, গত বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে প্রথম স্বামী শরিফুল দাদপুর গ্রামে গিয়ে ময়না বেগমকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে বেলা ১২টার দিকে তাকে অসুস্থ অবস্থায় বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। তখন শরিফুল ময়না বেগমের পরিবারকে জানায়। খবর পেয়ে ময়নার বোন জামাই আলমগীর শেখ ও মামা দাদপুর গ্রামের লিয়াকত খলিফাসহ পরিবারের লোকজন হাসপাতালে এসে ময়নাকে নিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে ময়নার স্বামী শরিফুল মল্লিক পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে রাতে ফরিদপুর থেকে ঢাকা নেয়ার সময় ময়না বেগমের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়না বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। ওসি মাহমুদুল হাসান আরও জানান, মরদেহের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে৷ ধর্ষণ হয়েছে কি না বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে, নিহত ময়না বেগমের মামা লিয়াকত খলিফা অভিযোগ করে জানান, শরিফুল মল্লিক তার ভাগ্নিকে অপহরণ করে নির্যাতন চালায়। অমানুষিক নির্যাতনের ফলে সে মারা যায়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More