বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ একে অপরের সুখে-দুঃখে পাশে থাকে

চুয়াডাঙ্গায় মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ভার্চুয়াল কর্মশালায় বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ‘মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সম্পন্ন জাতি গঠনে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ভূমিকা’ শীর্ষক ৩ দিনের ভার্চুয়াল কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার শেষ দিনে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে জুম ক্লাউড অ্যাপের মাধ্যমে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক বাস্তাবায়নাধীন মন্দিরভিত্তিক ‘শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৫ম পর্যায়’ প্রকল্পের আওতায় জেলা পর্যায়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৫ম পর্যায়ের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) রঞ্জিত কুমার দাস। সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন উপ-প্রকল্প পরিচালক (উপ-সচিব) সৌরেন্দ্র নাথ সাহা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গার সহকারী প্রকল্প পরিচালক মৌসুমি সুলতানা। জুম ক্লাউড অ্যাপে যুক্ত থেকে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিম লিংকন, প্রকল্পের ট্রাস্টি নান্টু রায়, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মালিক, সাংবাদিক শাহ আলম সনি, জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক সন্তোষ কুমার, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এবিএম রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্ট্রান ঐক্য পরিষদ চুয়াডাঙ্গার সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার সিংহ রায়, দামুড়হদা উপজেলা মনিটরিং কমিটির সদস্য উত্তম রঞ্জন দেবনাথ ও সদর উপজেলা মনিটরিং কমিটির সদস্য শ্যামল কুমার নাথ। কেন্দ্র মনিটরিং কমিটির মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুন্সিগঞ্জ বারোয়ারী শ্রী শ্রী হরিবাসর নাট মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক দেবেন্দ্র নাথ দোবে। মাগুরা জেলার সহকারী প্রকল্প পরিচালক চৈতি মহলদার ও মেহেরপুর জেলার সহকারী প্রকল্প পরিচালক হ্যাপি সাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সম্পন্ন জাতিগঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্প। প্রতিটি ধর্মই শান্তির ধর্ম। মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সম্পন্ন জাতি গঠনে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই। আমাদের বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। এদেশে সব ধর্মের মানুষ একে অপরের সুখে-দুঃখে পাশে থাকে। শিশুকাল থেকেই ধর্মীয় মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা যদি কারো মধ্যে তৈরি করা যায়, তার মধ্যে দেশপ্রেম তৈরি করা যায় তাহলে সেই শিশুই আগামীতে দেশের উন্নয়নে কাজ করবে। এছাড়াও প্রাক প্রাথমিক এ শিক্ষার কারণে নিরক্ষরতা দূরীভূত হচ্ছে। ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে দেশের তরুণ ও যুবকদের মাঝে আদর্শ, নৈতিকতা, সহনশীলতার বিকাশ ঘটছে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রকল্পের খুলনা বিভাগীয় মাস্টার ট্রেইনার মনোতোষ কুমার। কেন্দ্র শিক্ষকের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জীবননগর শ্রী শ্রী সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের আভা রানী ঘোষ ও চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার দুর্গা মন্দিরের অন্তর কুমার ঘোষ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More