মামলা থেকে বাঁচতে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা শ্যালিকাকে বিয়ে

জুয়েল হাওলাদার আট মাস আগে বিয়ে করে এক তরুণীকে। বিয়ের পর ১৫ বছর বয়সী কিশোরী শ্যালিকার দিকে নজর পড়ে তার। শ্যালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে জুয়েল। একপর্যায়ে তা শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়। বিষয়টি জুয়েলের স্ত্রী ও তাদের পরিবারসহ প্রতিবেশীরা টের পেলে কয়েক মাস আগে শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায় সে। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই কিশোরী।
জানা গেছে, স্কুলছাত্রী ওই কিশোরী তাকে বিয়ে করার জন্য জুয়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। বিয়ে না করলে ধর্ষণ মামলা করার হুমকি দেয়। মামলা থেকে বাঁচতে গত ২৫ এপ্রিল স্ত্রীকে খোলা তালাক দিয়ে ২৯ এপ্রিল শ্যালিকাকে বিয়ে করে জুয়েল। জুয়েল হাওলাদার বরিশালের মুলাদী উপজেলার কাজীরচর ইউনিয়নের উত্তর কাজীরচর গ্রামের মৃত খলিল হাওলাদারের ছেলে। পাশের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামে বিয়ে করে সে। তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে যাকে বিয়ে করেছে তথা নবপরিণীতা স্ত্রী কাজীরচরের একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। এ বিয়ে ও তালাকের ঘটনায় সংশ্নিষ্ট নিকাহ রেজিস্ট্রারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কাজীরচর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী নূর শরীফের মাধ্যমে স্ত্রীকে তালাক দেয় জুয়েল। চার দিন পর একই নিকাহ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে অপ্রাপ্তবয়স্ক শ্যালিকাকে বিয়ে করে।
এ ব্যাপারে কাজী নূর শরীফ জানান, ২৫ এপ্রিল জুয়েল তার স্ত্রীকে খোলা তালাক দেওয়ার সময় স্ত্রীর অভিভাবক পক্ষও উপস্থিত ছিল। এরপর ২৯ এপ্রিল অরেক মেয়েকে বিয়ে করে জুয়েল। নিকাহ রেজিস্ট্রার দাবি করেন, পাত্রীর বয়স ১৮ বছর প্রমাণের হাতে লেখা একটি জন্মসনদ দেখানো হলে তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন তিনি। সংশ্নিষ্ট জনপ্রতিনিধির স্বাক্ষরসহ হাতে লেখা জন্মসনদের বৈধতা আছে বলে তিনি দাবি করেন। স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে বিয়ে করা যায় কিনা জানতে চাইলে নিকাহ রেজিস্ট্রার বলেন, পুরুষদের ক্ষেত্রে এ আইন প্রযোজ্য নয়। তালাকপ্রাপ্ত তরুণী বলেন, বিয়ের মাসখানেক পর জানতে পারেন, স্বামী জুয়েলের চরিত্র ভালো নয়। তবে সংসার ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় চুপ ছিলেন। ছোট বোনকে অনেক বুঝিয়েছেন; তবে বয়স কম হওয়ায় সে কিছু বুঝতে চায়নি। জুয়েলের ফাঁদে পা দিয়ে তাকে শেষ পর্যন্ত বিয়ে করেছে। অভিযুক্ত জুয়েল হাওলাদার জানায়, বনিবনা না হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তার ছোট বোনকে বিয়ে করেছে। বিয়েতে মেয়ের সম্মতি ছিল। কাজীরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মন্টু বিশ্বাস বলেন, আইন অনুযায়ী ওই কিশোরীর বিয়ের বয়স হয়নি। খোলা তালাক রেজিস্ট্রি করার চার দিনের মাথায় বিয়ে রেজিস্ট্রির বিষয়ে নিকাহ রেজিস্ট্রারের কাছ জানতে চাওয়া হবে।
মুলাদী থানার ওসি এস এম মাকসুদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবেন। মুলাদী উপজেলার

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More