মালয়েশিয়া প্রবাসীদের সম্মাননা দেবে বাংলাদেশ হাইকমিশন

স্টাফ রিপোর্টার:আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের সম্মাননা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কৃষি, শিক্ষা, গবেষণা, চিকিৎসা, প্রকৌশল, ব্যবসা ও সমাজসেবাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রাখা প্রবাসীদের ‘অভিবাসী দিবস পুরস্কার’ দেওয়া হবে। এ জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান সুপরিচিত। বর্তমানে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার সবচেয়ে বড় উৎস হলো রেমিট্যান্স, যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আসে মালয়েশিয়ায় কর্মরত প্রায় ৮ লক্ষাধিক বাংলাদেশি অভিবাসীর কাছ থেকে। তারা শুধু অর্থ পাঠিয়েই সীমাবদ্ধ নন, বরং বাংলাদেশি সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব, ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক বিস্তার এবং মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতেও প্রত্যক্ষ অবদান রাখছেন।

শুধু আর্থিক দিক থেকে নয়, প্রবাসীরা বাংলাদেশকে বৈশ্বিক পর্যায়ে পরিচিত করতে একটি কার্যকর সেতুবন্ধনের ভূমিকা পালন করছেন। ডাক্তার, প্রকৌশলী, গবেষক থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা—সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করছে।

হাইকমিশনের এই উদ্যোগ মূলত প্রবাসীদের সেই অবদানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি প্রয়াস।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের স্বীকৃতি শুধু ব্যক্তিগত সম্মাননা নয়, বরং প্রবাসী সমাজকে আরও অনুপ্রাণিত করবে। এতে অভিবাসীদের মনোবল বৃদ্ধি পাবে এবং ভবিষ্যতে প্রবাসীদের নতুন উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহিত করবে।

আগ্রহী প্রবাসীরা আগামী ৩১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখের মধ্যে আবেদন জমা দিতে পারবেন। আবেদনকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য, পাসপোর্ট নম্বর, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, পেশাগত পরিচিতি, অর্জন/অবদানের বিবরণ (সর্বোচ্চ ৫০০ শব্দে) এবং প্রমাণাদি জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র ডাকযোগে পাঠানো যাবে বাংলাদেশ হাইকমিশন, মালয়েশিয়া (No 8, Lorong Yap Kwan Seng, 50450, Kuala Lumpur) অথবা ই-মেইলে—mission.kualalumpur@mofa.gov.bd এবং fs.bhc.kl@gmail.com-এ।

প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। বাংলাদেশে একই দিন পালিত হয় জাতীয় প্রবাসী দিবস। দিবসটি প্রবাসীদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং অভিবাসন খাতে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার একটি সুযোগ।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ প্রবাসীদের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে। পাশাপাশি মালয়েশিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে থাকা বাংলাদেশিদের আত্মপরিচয় ও মর্যাদাকে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More