স্টাফ রিপোর্টার: সুবিধাবঞ্চিত ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (ডুয়া)। গতকাল বুধবার রাজধানীর শ্যামলীতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘ছায়াতল বাংলাদেশ’র কার্যক্রমে আর্থিক সহায়তার একটি চেক হস্তান্তর করে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীদের একমাত্র এই সংগঠনটি। অনুষ্ঠানে ডুয়া ইউকের পক্ষ থেকে এক লাখ ১৫ হাজার টাকার একটি চেক হস্তান্তর করেন ডুয়ার আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু এবং সদস্য সচিব এ টি এম আবদুল বারী ড্যানী। ছায়াতল বাংলাদেশের পক্ষে চেক গ্রহণ করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ও সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব আবদুল্লাহ আল মামুন। আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীদের এই বৃহৎ সংগঠন সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য অভাবগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে বাধাহীন সহায়তা নিশ্চিত করা। সদস্য সচিব আবদুল বারী ড্যানী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শতভাগ বৃত্তির আওতায় এনেছি। গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে, আর চলতি বছর তা বাড়িয়ে এক হাজার ৪শ জনে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সৈয়দ আমিনুর রহমান মাইকেল আশা প্রকাশ করে বলেন, ঢাবির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এ মানবিক ও সামাজিক ভূমিকা তরুণদের মাঝে দায়িত্ববোধ ও সংহতির চেতনা গড়ে তুলবে। ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল আশ্বাস দিয়ে বলেন, প্রতিবন্ধী ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার এমন উদ্যোগ ডুয়া ইউকে ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত করবে। ছায়াতল বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, বর্তমানে সংগঠনটি ৪টি ক্যাম্পাসে প্রায় ২৫০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দিচ্ছে। পাশাপাশি ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে শিশুদের জন্য একটি স্থায়ী আবাসন কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সমাজের বিত্তবান ও সচেতন মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। সামনের দিনেও মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে সংগঠনটি। ডুয়া নেতারা জানিয়েছেন, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদানই তাদের সংগঠনের অন্যতম অগ্রাধিকার। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডুয়ার সিনিয়র সদস্য সৈয়দ আমিনুর রহমান মাইকেল, মো. আবদুস সাত্তার মিয়াজী, সদস্য (দপ্তর) বায়েজীদ বোস্তামী ও মো. তহা।
পূর্ববর্তী পোস্ট
আলমডাঙ্গা ডাউকি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ব্যবহারের অনুপযোগী : ভোগান্তিতে এলাকাবাসী
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.