মেহেরপুরে ‘মুজিববর্ষে শতঘণ্টা মুজিবচর্চা’ বিষয়ক আলোচনাসভায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নতুন প্রজন্মকে উন্নত জীবন দিয়েছেন
মেহেরপুর অফিস: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুজিববর্ষে শতঘণ্টা মুজিবচর্চা’ বিষয়ক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জুমের মাধ্যমে এ আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি। এসময় তিনি বলেন, ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ মানব; জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখতেন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশে আমাদের আগামী প্রজন্ম উন্নত জীবনযাপন করবে। তাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদক্ষ নেতৃত্বে ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অনেক চড়া দামে এ স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়েছে। ৩০ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। আজ জাতির জনকের অনুপস্থিতিতে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নতুন প্রজন্মকে উন্নত জীবন দিয়েছেন। যার অংশ হিসেবে আজ কোভিট-১৯ এর মধ্যেও ঘরে বসে দূর-দূরান্তের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ জুমের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন, জাতির জনকের নামানুসারে মেহেরপুরের মুজিবনগর। বাংলাদেশের শপথ অনুষ্ঠান হয় মুজিবনগরে। তাই এ মুজিবনগর থেকে আমাদের ভালো কাজগুলো করতে হবে।
“জাতির পিতার শৈশব ও শিক্ষা জীবন শীর্ষক” আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি বঙ্গবন্ধু ছোট বেলায় একজন ভালো খেলোয়াড় ছিলেন। স্কুল জীবন থেকে তিনি নেতৃত্ব দিতেন। ছোট বেলা তিনি গোপালগঞ্জে তার বাবার সাথে থাকতেন ও বাবাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতেন। ছোট বেলায় তার বেরিবেরি রোগ হওয়ায় ঢেঁকিছাড়া চাল খাইতেন। তারপরও তার চোখ ভালো না হওয়ায় তার চোখে অপারেশন করতে হয়। সেই থেকে তিনি চশমা পড়তেন। চোখের অসুখের কারণে তিনি ৪ বছর পড়ালেখায় গ্যাফ দিয়ে অন্য স্কুলে ভর্তি হলেন। ক্লাসের ছেলেদের চেয়ে বড়। তাদের নেতৃত্ব দিতেন। তখন থেকে সবার তার পিছে ঘুরে বেড়াতো। একবার রাস্তা অবরোধ করে মন্ত্রীকে গাড়ি থেকে নামান এবং স্কুল হোস্টেলের চাল দিয়ে পানি পড়ার কথা বলে ১ হাজার ৫শ’ টাকা সারাই করার জন্য আদায় করেন। মন্ত্রীর সাথে থাকা হোসেন শহীদ সোহরাউর্দ্দী দেখে বিষ্মিত হলেন। তিনি আরও বলেন, শৈশবে তিনি গায়ের জামা-কাপড় খুলে গবির মানুষকে দিতেন। জুমের মাধ্যমে দেশের বিশিষ্ট লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এভাবে জাতির পিতার শৈশব ও শিক্ষা জীবন সম্পর্কে বর্ণনা করেন। এদিন জুমের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে আরও যুক্ত হন মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক, সহসভাপতি আব্দুল হালিম, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. এসএম ইব্রাহীম শাহীন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলম, পিপি অ্যাড. পল্লব ভট্টাচার্য, প্রফেসর হাসনুজ্জামান মালেক, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আলামিন হোসেন প্রমুখ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More