রডবোঝাই ট্রাক উল্টে খাদে : প্রাণ গেলো ১৩ জনের

লকডাউন : ঈদ উপলক্ষে ট্রাকযোগে ঢাকা থেকে গাইবান্ধায় ফেরার পথে দূর্ঘটনা

স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মালবাহী (রডবাহী) একটি ট্রাক উল্টে ১৩ জন নিহত হয়েছে। নিহতরা সবাই ঈদ উপলক্ষে ওই ট্রাকযোগে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মালবাহী (রডবাহী) ওই ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারালে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে পানি ভর্তি খাদে উল্টে পড়ে ওই ১৩ জনই চাপা পড়ে নিহত হন। বৃহস্পতিবার সকালে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের দুবলাগাড়ি জুনদহ এলাকায় ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘনার অনেক পরে স্থানীয়রা ট্রাকটি দেখতে পান। নিহতদের মধ্যে ৩ জনের পরিচয় উদ্ধার করেছে হাইওয়ে পুলিশ। তারা হলেন, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা মহদীপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে পোশাক শ্রমিক মহসিন মিয়া (২৬), রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ধোরাকান্ত গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে শামছুল আলম (৬৫) ও নাতী সোয়াইত (৭)। সোয়াইতের বাবার নাম সুমন মিয়া।  এছাড়া এ ঘটনায় কোনো আহতের সন্ধান পাওয়া যায়নি। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পরিবারের লোকজনের সাথে ঈদ করার উদ্দেশ্যে এসব মানুষ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওইসব শ্রমিক ট্রাকের ড্রাইভার হেলপারদের সাথে যোগসাজস করে গোপনে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ফলে তাদের পরিবারের সাথে ঈদ করা আর হলো না। গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকটি উদ্ধারের পর দুর্ঘটনাস্থল থেকে রডগুলো উদ্ধার করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় ১০ জন মধ্য বয়ষ্ক পুরুষ মানুষ ও তিন শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ট্রাক ও মরদেহগুলো গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়। পলাশবাড়ী থানার ওসি মাসুদুর রহমান জানান, ঢাকা থেকে রংপুরগামী মালবাহী (রডবাহী) ট্রাকটি প্রচুর বৃষ্টি ও হালকা ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে ওই এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে উল্টে যায়। এতে ট্রাকযোগে ঢাকা থেকে আসা ১৩ যাত্রী নিহত হয়। ধারণা করা হচ্ছে নিহতরা সবাই ঢাকার গাজীপুরে পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন ধরনের শ্রমিকের কাজ করতেন। ঈদের ছুটিতে তারা বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি আরো জানান, ট্রাক চালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন ও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসক তাৎক্ষনিকভাবে নিহতেদের জন্য ১০ হাজার টাকা অনুদান দেন। তিনি বলেন, পরবর্তীতে আরো কিছু সহায়তা দেয়া হবে। এ ব্যাপারে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। দোষিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More