রাস্তা তৈরির বরাদ্দ যথাযথ ব্যবহারের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার: রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে যে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে মঙ্গলবার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে তিনি এ নির্দেশনা দিয়েছেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। এ সময় পরিকল্পনা সচিব মো. আসাদুল ইসলাম গণভবনেই উপস্থিত ছিলেন। একনেকের বাকি সদস্যরা ছিলেন রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে।

বৈঠকে চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১ হাজার ৬৬৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি নিজস্ব তহবিল থেকে ১ হাজার ৫২৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১৪৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। এ সময় বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, কৃষি, পানি ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) জাকির হোসেন আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিফিংয়ে আসাদুল ইসলাম বলেন, একনেকে শুরুতেই পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তার আশু রোগমুক্তি কামনা করা হয়। তিনি জানান, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে সেচ কাজে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানোর কথা বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন। এছাড়া এখন থেকে গ্রামীণ রাস্তাগুলো অনেক বেশি মজবুত করে তৈরি করতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে তিনি বলেছেন, গ্রামীণ রাস্তাগুলোকে টেকসই করতে হবে। যাতে শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছানো যায়। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ল্যান্ডফিল সংক্রান্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৩০ কোটি ১৬ লাখ টাকা ধরা হয়েছিলো নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরশেনের নিজস্ব তহবিল থেকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সেটির প্রয়োজন হবে না। আমরা যেহেতু ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে অনেক প্রকল্প দিয়েছি, তাই এই প্রকল্পের পুরো ব্যয়ই সরকারি তহবিলের অর্থে করতে হবে। একনেকে অনুশাসন দিতে গিয়ে বিমানবন্দরগুলোর যথেষ্ট লাইটিং ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, যেহেতু বিমানবন্দরগুলোর ব্যবহার বাড়ছে সেহেতু এগুলো সবসময় সংস্কারের মধ্যেই রাখতে হবে। এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য তৈরি ল্যান্ডফিলগুলো যাতে পানি দূষিত না করে সেদিকে খেয়াল রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, পানির উৎসের কাছে ল্যান্ডফিল করা যাবে না। এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব জানান, বিমানবন্দরের রানওয়ে উন্নয়নে ১৮ কোটি টাকা পরামর্শক ব্যয়ের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিমান মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যাও দিয়েছে। তাছাড়া প্রকল্পটি প্রক্রিয়াকরণ পর্যায়ে বিভিন্ন ধাপে এসব বিষয় যাচাই-বাছাই হয়েই এই পর্যন্ত এসেছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More